পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত হেনেছে। কারণ মুসলমানরা তাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)কে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। নবীজির অবমাননা মুসলমানগণ কিছুতেই বরদাশত করবে না। ফ্রান্স সরকার নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বমুসলিমকে উস্কে দিয়ে ধর্মযুদ্ধ বাধানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন: ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয়ভাবে বহুতল ভবনে প্রকাশ্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। তিনি বলেছেন, ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত হেনেছে। নবীজির অবমাননা মুসলমানগণ কিছুতেই বরদাশত করবে না। ফ্রান্স সরকার নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বমুসলিমকে উস্কে দিয়ে ধর্মযুদ্ধ বাধানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স সরকারকে অবিলম্বে এ ধৃষ্টতাপূর্ণ ব্যঙ্গচিত্র প্রচারনা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে প্রতিবাদের দাবানল ছড়িয়ে পরবে এবং নবীপ্রেমিকরা ফ্রান্সের পণ্যবর্জন করতে বাধ্য হবে। তিনি বিশ্বশান্তির দূত হযরত মহানবী (সা.) এর অবমাননা বন্ধে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহবান।
আজ শনিবার বিকেলে কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক বৈঠকে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী ও মাওলানা সানাউল্লাহ প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্যজোট: ফ্রান্সের সরকারী বহুতল ভবনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতার নামে ফ্রান্স ইসলাম বিরোধী চরম অসভ্য ও নোংরা খেলা শুরু করেছে। খোলা রাস্তায় সরকারী বহুতল ভবনে মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। আর সেখানে অস্ত্র হাতে পাহারা দিচ্ছে ফ্রান্সের পুলিশ তথা সরকার। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীও কিছুদিন আগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। এসব উগ্র কর্মকান্ড প্রমাণ করে যে, ফ্রান্স সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বিশ্বের মুসলমানদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব। তিনি বাকস্বাধীনতার নামে প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কোন ধরণের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বরদাশত করা হবে না। অবিলম্বে সরকারিভাবে ফ্রান্সের এই ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে আমরা ইসলামবিদ্বেষী ফ্রান্সের দূতাবাস দেখতে চাই না। দ্রুত ঢাকা থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধ করে ওই দেশের সাথে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। অন্যথায় ইসলামী ঐক্যজোট ফ্রান্স দূতাবাস অভিমুখে বৃহত্তর লংমার্চ কর্মসূচী ঘোষণা করবে।
মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী দলমত নির্বিশেষে দেশের নবীপ্রেমিক মুসলমানদের ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন ও মহানবী (সা.)-ইজ্জত রক্ষায় প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।