পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষা ও জ্ঞান সাধনার কোনো শেষ নেই। ইসলাম প্রচারক, ওয়ায়েজ, মুফাসসরি ও ধর্মীয় আলোচকবৃন্দের বহু বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন জরুরি। ইসলামী জ্ঞান ছাড়াও তাদের জীবন জগৎ পরিপার্শ্ব সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। এ জন্য ওয়ায়েজ ও ধর্মীয় আলোচকবৃন্দকে জনগণের মনস্তুত্ব বুঝে হিকমত ও সদালাপের মাধ্যমে মানুষকে দীনের দিকে আহবান করতে হবে। ওয়ায়েজ ও ধর্মীয় আলোচকবন্দের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা, প্রশিক্ষণ কোর্স অপরিহার্য। আজ শনিবার কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) সেমিনার হলে বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটির উদ্যোগে বৃক্তৃতা ওয়াজ প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী এসব কথা বলেন।
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, ধর্মীয় বক্তাগনের হালকা কথা, অধিক হাসক্যরস, অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা, গানের প্যারোডি, জোকস করা ইসলামের মাহাত্ম্যকে ক্ষুন্ন করে। সকল ধর্মীয় আলোচক, ইমাম, খতিব ও ওয়ায়েজকে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) জ্ঞান ওতথ্য ভান্ডারের মুখপাত্র প্রচারকরুপে পবিত্রতা, দায়িত্বশীলতা এবং উন্নত রুচি ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মীয় আলোচকবৃন্দের আত্মিক শক্তি ও নৈতিক পবিত্রতা মানুষের মনোজগতে বিপ্লব এনে দিতে পারে। যেভাবে বিশ্বব্যাপী খুব অল্প সময়ে ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছিল।
বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটির চেয়ারম্যান মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রয়েসর ড. মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির, নরসিংদী পলাশ শিল্পাঞ্চল সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আনিসুর রহমান শিপলু, বিটিভির সংবাদ পাঠক নেছার উদ্দিন আইয়ূব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা ফজলুর রহমান, ড. মুশতাক আহমদ, মাওলানা মুফতি আনিস আনসারী ও প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী বলেন, ধর্মীয় আলোচকবৃন্দকে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। শ্রোতাদের অতিরিক্ত হাঁসাতে গিয়ে মানুষের হাসির পাত্র হওয়া যাবে না ওয়ায়েজগণকে। ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। ওয়ায়েজ ও ধর্মীয় আলোচকবৃন্দ দীনের রাহাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। রাসূল (সা.) এর আদর্শকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ধর্মীয় আলোচকবৃন্দকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে জ্ঞানের চর্চার বিকল্প নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাস সম্পন্ন বক্তা মঞ্চে দাঁড়িয়ে শ্রোতাকে জয় করতে পারেন। তার ব্যক্তিত্ব বক্তব্য শ্রোতাকে অভিভূত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।