Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশ একজন উঁচুমাপের আইন বিশেষজ্ঞকে হারালো : সালমান এফ রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৩৬ পিএম | আপডেট : ৬:৩৬ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

সর্বজন শ্রদ্ধেয় আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে এই দেশ সত্যিকার অর্থেই একজন উঁচুমাপের আইন বিশেষজ্ঞকে হারালো। হারালো অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ একজন যোদ্ধাকে। আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।

শোক বার্তায় তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী-সমর্থিত তথাকথিত ‘১/১১ সরকার’-এর সময় রফিক উল হক অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে লড়াই করেছিলেন। যা ছিল এ দেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি তার অঙ্গীকারের প্রতিফলন। জনাব হক ওই কঠিন রাজনৈতিক সংকটের সময় দেশের দুটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান, দুই কারাবন্দী নেত্রীর আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সময় অসংখ্য রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমিও কারান্তরীন ছিলাম।

শান্ত তবে বলিষ্ঠ কণ্ঠে জনাব হক সেই সময় বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিহাস তুলে ধরেছিলেন। যেই সময় খুব কম মানুষেরই কথা বলার সাহস ছিল, সেই সময় ব্যারিস্টার রফিক উল হক অপশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এটিই ছিল তার জীবনের সেরা মুহূর্ত।

বিবৃতিতে সালমান এফ রহমান বলেন, একজন পেশাদার ও নির্দলীয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন। এই বিরল বৈশিষ্ট্য তিনি মৃত্যুর আগ অবদি ধরে রেখেছিলেন। তার কনিষ্ঠ হিসেবে তার চ্যাম্বারে কাজ করা অসংখ্য আইনজীবী বেঞ্চ ও বারে স্বীকৃতি পেয়েছেন, বিশেষ মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ছিলেন তাদের মেন্টর। তাদের সাফল্য তারই পেশাদারিত্ব ও পারদর্শিতার স্বীকৃতি।

সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেয়ার যেই দায়িত্ব, তা সম্পর্কেও ভীষণভাবে সচেতন একজন মানুষ ছিলেন ব্যারিস্টার হক। উদারহস্তে তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য কিছু হাসপাতাল, যেমন শিশু হাসপাতাল, বারডেম হাসপাতাল ও আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও সহায়তায় অবদান রেখেছেন। ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের স্বাধীনতারও আগ থেকে শুরু করে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আমাদের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি আমাদের পরিবারেরই একজন সদস্য ছিলেন। আমার কাছে ছিলেন বড় ভাইয়ের মতো। সবসময় পাশে ছিলেন। সুখ-দুঃখের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথেই ভাগাভাগি করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ