পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের বিল থেকে নূর জাহান (৫৮) গৃহবধূর পাঁচ খন্ডিত লাশ উদ্ধার ও হত্যাকা্ন্ডে রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ১৫ দিন পর এ হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সাথে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত বটি, চাপাতি, কোদাল, বালিশ ও পরনের শাড়ী উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, জেলার পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও সাংবাদিক বৃন্দ।
ডিআইজি জানান, গত ৭ অক্টোবর সুবর্ণচরের জাহাজমারা গ্রামের একটি বিলে বিভিন্ন ক্ষেত থেকে নূর জাহান নামের ওই গৃহবধূর ৫ খÐিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার ছেলে হুমায়ন কবির হুমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। কোন প্রকার ক্লুলেস এ হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটন, অংশগ্রহণকারীদের চিহিৃত করা, ব্যবহৃত অস্ত্রসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধারে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযানকালে সন্দেহজনকভাবে মৃত নারীর ছেলে হুমায়ন কবির হুমার বন্ধু নীরব ও প্রতিবেশী কসাই নূর ইসলামকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত বটি, চাপাতি, কোদাল, বালিশ ও মৃতের পরনের শাড়ী উদ্ধার করা হয়। পরে তারা দুইজন অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। তাদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে হত্যাকাÐের মূল পরিকল্পনাকারী আগের মামলার বাদী ও মৃত নারীর ছেলে হুমায়ন কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়নের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাÐে সরাসরি জড়িত তার মামাতো ভাই কালাম প্রকাশ মামুন, মামাতো বোনের স্বামী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।
এসপি আরও বলেন, হুমায়ন কবিরের সৎভাই বেলাল গত দেড় বছর আগে ইটভাটায় মারা যান। মৃত্যুর আগে বেলালের গরু, পুকুরের মাছ ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসার পুঁজির জন্য মা নূর জাহানকে জিম্মাদার রেখে ৪ লাখ টাকা সুদে নেন। ওই টাকা পরিশোধ করার আগে মারা যান বেলাল। হুমায়ন চেয়েছিল মৃত বেলাল ও তার মায়ের নামে থাকা জায়গা জমি বিক্রি করে ওই টাকা শোধ করতে। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মামা দুলাল মাঝির কাছ থেকে পাওয়া ৬২ হাজার ৫শ’ টাকার জন্য প্রায় দুলালকে জোর করতো নূর জাহান।
এসব বিষয় নিয়ে দুলালের ছেলে কালাম ও মেয়ের জামাই সুমন নূর জাহানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এর জের ধরে হুমায়ন, কালাম, সুমন প্রতিবেশী ইসমাইল, হামিদসহ ৭ জন এ হত্যাকাÐের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নূর জাহানকে ঘুমের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামি ইসমাইল ও হামিদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।