পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের মতো কৃষি প্রধান দেশের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে কৃষিখাতে উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল বুধবার এগ্রিকালচারাল রিপোর্টার্স ফোরাম (এআরএফ) আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান শতকরা হারের হিসেবে আগের তুলনায় কমলেও, এর গুরুত্ব কমেনি। দারিদ্র বিমোচন এবং সকলের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির অবদান অতীতে ছিলো, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কৃষির ভূমিকা শীর্ষক এ সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এআরএফ-এর সভাপতি মো. আশরাফ আলী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক ফয়জুল সিদ্দিকি এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মাকসুদুল হাসান।
বৈশ্বিক কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রভাবে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে পিছিয়ে পড়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। অতিমারীর মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যহত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আলুর বাজার মূল্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান সে বিষয়ে সরকার সচেতন, তাই আলুর দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু মুনাফালোভী মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন। ভোক্তা ও বাজার ব্যবস্থার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হিমাগার ব্যবসায়ীদের আহŸান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ বলেন, কৃষিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। স্বাধীনতার পরে সাত কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে অসম্ভব ছিল, সেখানে এখন ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে কৃষিখাত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের কারনে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।
সাবেক কৃষি সচিব মো. আনোয়ার ফারুক বলেন, গত দশ বছরে কৃষিখাতে অবিস্মরণীয় উত্তরণ ঘটেছে। কৃষির আধুনিকীকরণ, গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাত সৃষ্টিসহ নানামুখী সফলতা রয়েছে বর্তমান সরকারের। কিন্তু দুর্বল বাজার ব্যবস্থার কারণে সেই সাফল্য কিছুটা ¯øান হয়েছে। তাই এখন কৃষির বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য আরো কাজ করা দরকার।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কাউন্সিল (বিএডিসি)-এর চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম এবং কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।