Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ৮:০৮ পিএম | আপডেট : ৮:১৫ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২০

দুর্গতিনাশিনী দশভুজা দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙ্গালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়েই দূর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ঢাকের বোল, কাঁসর ঘণ্টা ও শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে পূজামন্ডপ। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পূজায় অনেকটা সীমাবদ্ধ থাকছে মন্ডপগুলো। পরিস্থিতি বিবেচনায় সন্ধ্যা আরতির পর মন্ডপে দর্শনাথী প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ। শাস্ত্র মতে, মহালয়া, বোধন ও সন্ধিপূজা- এই তিন পর্ব মিলেই দুর্গোৎসব। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এরপর বোধন দুর্গাপূজার প্রধান একটি আচার। ‘বোধন’ শব্দের অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্তি। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেল গাছের শাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। শরৎকালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান রয়েছে। সাধারণত শুক্লা ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন হলেও এবার তিথি অনুযায়ী পঞ্চমীতেই বোধন পড়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সকল মন্ডপে দেবীর বোধন হয়েছে। এ বছর মা দোলায় চড়ে আগমন ও গজে চড়ে গমন (প্রস্থান) করবেন। আগামী ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর পূজামন্ডপের সংখ্যা কিছু কমেছে। সারাদেশে ৩০ হাজার ২২৫টি মন্ডপে দুর্গোৎসব পালনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মন্ডল জানান, এরআগে রাত ৯টা পর্যন্ত পূজা মন্ডপ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হলেও করোনার সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যা আরতির পর মন্ডপ বন্ধ রাখা হবে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজার দিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করবে কয়েকটি টেলিভিশন। একই সময়ে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নামের ফেসবুক পেজ থেকে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বাড়িতে বসেই এবার ভক্তরা অঞ্জলি দেবেন মায়ের চরণে। বিজয়ার শোভাযাত্রা এ বছর হবে না। মন্ডপ থেকে সরাসরি বিসর্জন ঘাটে গিয়ে মাকে বিসর্জন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য মনিটরিং সেল করা হয়েছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পূজা মন্ডপগুলো অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার, র‌্যাবসহ সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এবার পূজার অনুষ্ঠানমালা শুধু ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মন্দির বা মন্ডপ প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পূজা মন্ডপে সমবেত সকলের জন্য করোনা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। মন্ডপ ও ভক্ত পুজারিদের নিরাপত্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই সকল নির্দেশনায় পূজাকে কেন্দ্র করে শোভাযাত্রা, প্রসাদ বিতরণ ও আলোক সজ্জা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ