পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সীমান্ত অঞ্চলে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীদের খুনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এ জন্য সরকারের নতজানু পরাষ্ট্রনীতিকে দায়ী করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় বিএসএফ’র বাংলাদেশী খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত মাসের ১৯ তারিখ ঢাকায় দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর শীর্ষ বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ প্রধান সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেও তারা কথা রাখেনি। এই প্রতিশ্রুতির পর একাধিক হত্যাকা-ের ঘটনার খবর এসেছে। গত বছরের প্রথম সাড়ে আট মাসে বিএসএফ ২৮ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছিল। চলতি ২০২০ সালের ৯ মাসে প্রায় অর্ধ্বশত বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে। এছাড়াও সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড ও নদীতে প্রায়ই বাংলাদেশীর রহস্যজনক লাশ পাওয়ার ঘটনা খবরে আসে। সবমিলিয়ে বিএসএফ যেন বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিযোগিতা ও নেশায় মেতেছে। তিনি বলেন, বিএসএফ’র নির্বিচার বাংলাদেশী খুনের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ তো দূরের কথা, মৌখিক কড়া প্রতিবাদ জানাতেও আমরা দেখছি না। এটা গভীর বেদনাদায়ক, লজ্জার ও নিন্দনীয়। সরকারের দুর্বল জনসমর্থন এবং ভারত নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বিএসএফ এমন দুঃসাহস দেখাতে পারছে। তিনি বলেন, বিএসএফের যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার জবাবে অতীতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ গৌরবময় ভূমিকা জনগণ দেখেছে। অথচ বর্তমান সরকারের লাগাতার তিন মেয়াদে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে কার্যতঃ নিষ্ক্রীয় করে রেখেছে। সীমান্ত হত্যাকা-ের ঘটনায় বর্ডার গার্ডের তরফ থেকে পতাকা বৈঠক করে লাশ গ্রহণ ছাড়া ভরসা রাখার মতো কোন তৎপরতাই এখন চোখে পড়ে না। আল্লামাা কাসেমী বলেন, বিশ্বের কোন দেশের সীমান্তে কেবল অবৈধ সীমান্ত পারাপার বা চোরাচালানের জন্য নিরীহ মানুষ খুনের মতো নিষ্ঠুরতার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায় না। এমনকি ভারতের সাথে চীন, মিয়ানমার, ভূটান, নেপাল ও পাকিস্তান সীমান্তেও এমন নির্বিচার হত্যাকা- নেই। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশীদের যে হারে নির্বিঘেœ খুন করে চলেছে, বিশ্বে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশীদেরকে লাগাতার তারা খুন করে যাবে, আর বাংলাদেশ সুসম্পর্ক রক্ষার জন্য চুপচাপ সয়ে যাবে; আমরা এমনটা দেখতে চাই না। আমরা চাই সীমান্তে বাংলাদেশের স্বার্থ ও নাগরিকদের জানমালের হেফাজতে বর্ডার গার্ডের জাওয়ানরা বীরের মতো ভূমিকা রাখুক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বহির্দেশীয় যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সক্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। তিনি বলেন, নেপাল ভূটানের মতো ছোট দেশও ভারতের যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার দৃঢ় জবাব দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সীমান্তবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় কার্যকর কিছুই করছে না। যে কোন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জান-মাল ও ইজ্জত-আব্রুর হেফাজত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ও সরকার সেই কর্তব্যবোধ লাগাতার বিস্মৃত হয়ে থাকলে জনগণের ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠতে সময় লাগবে না। তখন উদ্ভূত পরিস্থিতির সকল দায় সংশ্লিষ্টদেরকেই নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।