পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি কেজি আলুর খুচরা দাম নতুন করে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫ টাকা করা হচ্ছে। আলুর দাম বাড়তে থাকায় মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান তিনি। কৃষি মন্ত্রী বলেন, লক্ষ্য ছিল যেন কৃষকরা আলুর ভালো দাম পায়, কিন্তু দাম এত বেড়ে যাবে সেটা বুঝতে পারেনি সরকার। এই দাম বৃদ্ধিকে সাময়িক উল্লেখ করে দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ র্যাব দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজার নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। এজন্য আমরা পুনঃবিবেচনা করছি। খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম বাড়াতে হবে। এটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হতে পারে। তবে বিকেলে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়। ইরান, তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার, পাকিস্তান থেকে আলু আমদানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গত ৫ মাস ধরে বৃষ্টির কারণে আলুর ওপর নির্ভরতা খানিকটা বেড়ে গেছে। বৃষ্টিতে শাক-সবজি অনেক কমে গেছে, মানুষ আলু ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। তা না হলে কোনোক্রমেই আলুর দাম এত বেশি হওয়ার কথা নয়। ব্যবসায়ীরা সবসময়ই মুনাফার দিকে থাকে। তারা দেখছে, এবার আলু দেরিতে আসবে। এজন্য তারা আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। খোলা বাজার অর্থনীতি, আমরা তো ওইভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমি সবসময় বিশ্বাস করি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে কোনোদিনই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সরবরাহ না বাড়ালে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। আমরা মনিটর করতে পারি, চাপ দিতে পারি। অস্বাভাবিক কিছু একটা করলে সেখানে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের কৃষি বিপণন অধিদফতর দাম নির্ধারণ করেছিল ৩০ টাকা। সেই দামেই বিক্রির জন্য তারা একটা প্রচেষ্টাও চালিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। এখন ব্যবসায়ীরা আলুই বের করছেন না, দাম বেশি। তিনি বলেন, আমরা এটা (নির্ধারিত দাম) পুনর্বিবেচনা করছি। পর্যালোচনা করে, মাঠ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। যে দামে মোটামুটি একটা লাভ হয়। কোল্ড স্টোরেজ, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী, তাদের লাভ ধরে মূল্য অবশ্যই বাড়াতে হবে। দাম পুনর্নিধারণের পর আমরা আবার মনিটরিং করব, এটা কঠোরভাবে দেখার চেষ্টা করব। দাম অবশ্যই ৩০ টাকার বেশি হবে। ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে একটা দাম চিন্তা করা হচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আশা করি, নতুন আলু আসলে দাম কমে যাবে। এবার আলু অনেক হবে। আলুতে আমাদের ঘাটতি থাকার কোনো কারণ নেই। আমাদের পর্যাপ্ত আলু হয়। আশা করি, ভবিষ্যতে এই সমস্যা হবে না। আমরা এখনও চিন্তা করছি যে, আলু কীভাবে রফতানি করা যায়। তিনি বলেন, এই বিপর্যয়ের জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছে। দেশে আলুর চাহিদা ৮০ থেকে ৯০ লাখ টন। ১৫ থেকে ২০ লাখ টন আলু আমাদর উদ্ধৃত্ত থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।