পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই, জনবিচ্ছিন্ন। তাদের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলেছি, আর টালবাহানা করবেন না। পদত্যাগ করুন। অতীতে সকল নির্বাচনকে বাতিল করে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করুন। এটাই একমাত্র সমাধান। গতকাল সোমবার দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ভয়াবহ অবস্থার থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এদেশের মানুষ জেগে উঠতে হবে। আমি আজকে অনেক তরুন মুখ দেখতে পারছি। এই যুবক-তরুন-ছাত্রকে আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে হবে, সেই আন্দোলনে মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আসবে। আমি আহবান জানাতে চাই, সকল দলমত নির্বিশেষে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাবার জন্য। আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত করার জন্য আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই যে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী একদলীয় সরকার আওয়ামী লীগ যেটা প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদেরকে হটিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি যা দিয়ে জনগণের কল্যাণ আসবে।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা-৫ এবং নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের দেশে যে নির্বাচন কমিশন আছে-এটা একটা ঠুটো জগন্নাথ। লজ্জা-শরম বলতে কিচ্ছু নাই। ঢাকায় তারা ১০% ভোট বলছে। আমরা মনে করি ৫% ও ভোট পড়ে নাই। বলছে- ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। একটা মানুষের তো লজ্জা-শরম-হায়া থাকে, এদের লজ্জা-শরম-হায়াটুকু নেই। অবলীলায় বলে যায়-ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতি কোথায় নাই, সারা দেশে দুর্নীতি।
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যে জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথাটা উনি মিথ্যা বলেননি। এই নির্বাচন তো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে ২০১৪ সাল থেকে যখন আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে। আপনরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এদেশের জনগন যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, যাতে তাদের পছন্দ মতো মানুষকে ভোট দিতে পারে তার জন্য আপনারা সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি করেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছেন, পুলিশকে ব্যবহার করেছেন, র্যাবকে ব্যবহার করেছেন, মিডিয়াকে ব্যবহার করেছেন এবং দুর্ভাগ্যজনক যে সশস্ত্র বাহিনীকে আমরা কখনো বিতর্কিত করতে দিতে চাই না তাদেরও আপনারা মাঝে মধ্যে ব্যবহার করতে চেয়েছেন।
মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের পরিচালনায় এই সমাবেশে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু,মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম নকি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আহবায় রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্র দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।