পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালীতে পারিবারিক কলহের জেরে বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় অগ্নিসংযোগকারীসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে জেলা সদরের রামহরিতালুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামহরিতালুক গ্রামের ইসমাইল হোসেনের প্রথম স্ত্রীর মারা গেলে আসমা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ইসমাইলের তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ইসমাইলের প্রথম স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের বনিবনা না হওয়ায় কিছুদিন আগে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সোমবার ইসমাইলের বড় ছেলে কামাল উদ্দিন ওই বাড়িতে গেলে সৎ মায়ের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘরের একটি কক্ষে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেন কামাল। এ সময় ইসমাইলের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা বেগম, ছেলে কামাল উদ্দিন, প্রতিবেশী তারেক, সুমন ও মান্না অগ্নিদগ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক তাদের ২৫০ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আসমা, কামাল ও তারেককে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন কামাল উদ্দিন বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা আসমা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আসমা তার বাবা তাকে ও তার দুই ভাইকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তাদের ঠিকমতো ঘরে ডুকতে ও খাবার দিতো না। ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে সকালে সে নিজ কক্ষটি অকটেন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতে গিয়ে নিজে অগ্নিদগ্ধ হন।
সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়–য়া জানান, কামালের সাথে তার সৎ মা আসমার জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সকালে ওই জায়গা জমির দলিলগুলো পুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য অকটেন ক্রয় করে আনে কামাল। পরে ঘরে এসে সেগুলোতে আগুন দিতে গিয়ে পুরো ঘরে আগুন লেগে কামালসহ বাকিরা দগ্ধ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনায় কামালের শ্যালক শামীমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।