পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে পানিতে ডুবে প্রতিদিন ৩২জন শিশুর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১ থেকে ৪ বছরের শিশুর সংখ্যা বেশি। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাসে পানিতে ডুবে ১ হাজার ৯২৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যা সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর হারের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশে বুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিনার্গোস এমন তথ্য দিয়েছে।
তবে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, চার মাসে শিশু মৃত্যুর এই তথ্যটি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত উৎস থেকে নেয়া। অনেক শিশু মৃত্যুর ঘটনা সংবাদ মাধ্যম কিংবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায় না। বাস্তবে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আরো বেশি। বøমবার্গ ফিলানথ্রপিসের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশে সিআইপিআরবি এবং আইসিডিডিআর’বি ২০১২ সাল থেকে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে এক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইপিআরবির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিইরেক্টর আমিনুর রহমান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে। দিনে মারা যায় ৩২ জন, যাদের বয়স এক থেকে চার বছর। শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখলে এ দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের আলোকে শিশুমৃত্যু সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে বলা হয়, এপ্রিল বাদে বাকি তিন মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। এরমধ্যে মে মাসে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৪৩২টি। এরমধ্যে ১৯২ জন শিশুরই মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। জুনে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৫৯৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যার ৮১ শতাংশ বা ৪৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। আর জুলাইয়ে মোট ৭৬০ শিশু মৃত্যুর খবর প্রকাশ হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশ বা ৬৫২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে। এই চার মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন, সহিংসতায় ১২৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ১ থেকে ১৭ বছর বষসী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। সিনার্গোস বাংলাদেশের পার্টনারশিপ লিড এশা হুশেইন বলেন, দেশে শিশুমৃত্যুর ঘটনাগুলো বিছিন্নভাবে হলেও পরিসংখ্যান এক করলে তা শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। শিশুদের সুরক্ষায় ডে কেয়ার সেন্টার, বাড়িতে শিশু বেষ্টনি তৈরির পাশাপাশি ব্যাপক সামাজিক সচেতনার মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল হেলথের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল গফুর এম বাচানী। এছাড়া সিনার্গোসের ড্রাউনিং প্রিভেনশন প্রজেক্টের ম্যানেজার ওবায়দুল ফাত্তাহ তানভীর বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।