পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হলেও বর্তমানে শারীরিকভাবে ভাল আছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ডা. শায়লা শগুফতা ইসলাম, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। এছাড়া গতকাল করোনায় আক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন সিএমএইচে এবং ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী ডা. শায়লা শগুফতা ইসলাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ব্যক্তিগত সহকারী হুমায়ুন কবির ইনকিলাবকে বলেন, স্যার এখন ভালো আছেন। হাসপাতালে ভর্তি হবার পর কোন অবনতি হয়নি। স্বাস্থ্যের সব প্যারামিটার ভাল আছে। কয়েকদিন পর আবারও করোনা টেস্ট করা হতে পারে।
করোনা আক্রান্ত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। তার একান্ত সচিব নুর খান বলেন, উনার অবস্থা ভালো। শরীরে জ্বর কিংবা করোনার কোন উপসর্গ নেই। আগামীকাল হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হতে পারে। চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম মোশাররফ হোসেনের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের এপিএস ফরিদ উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যায় ইনকিলাবকে বলেন, মেয়র সাহেব এবং তার স্ত্রী ভাল আছেন। শারীরিক ভাবে তারা শক্ত সামর্থ রয়েছেন। এখনো কোন ধরণের সমস্যা হয়নি। এছাড়া করপোরেশনের যেসব কর্মকর্তারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই ভাল আছেন।
এছাড়া উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জোবাইদুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব রিসাদ মোর্শেদ, মেয়রের এপিএস-২ রিশাদ মোর্শেদ, অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন, অঞ্চল-৮ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী, জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন এবং অঞ্চল-১ এর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী এবং কার্য সহকারীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সবার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন মেয়রের এপিএস ফরিদ উদ্দিন।
এদিকে গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। তার একান্ত সহকারী কাজী শাহজাহান জানান, গতকাল সকালে সচিব স্যারকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। গত ৭ অক্টোবর সচিব মো. মাহবুব হোসেন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গত কয়েকদিন ধরে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।