পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডেনমার্ক এবং কানাডার বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত দু’টি স্বতন্ত্র গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘এ’ এবং ‘এবি’ গ্রুপের রক্তে ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে, ‘ও’ গ্রæপের রক্তের ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যদের থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এবং এ সংক্রান্ত অসুস্থতার মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম।
সম্প্রতি বøাড অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত দু’টি নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছেন তারা। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, কোনও ব্যক্তির রক্তের ধরন তার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সংবেদনশীলতায় ভ‚মিকা রাখতে পারে এবং এ রোগটি কেন কারো কারো ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী প্রমাণিত হচ্ছে এবং অন্যরা শুধুমাত্র হালকা লক্ষণ অনুভব করছেন বা বাকিদের ক্ষেত্রে এসবের কোনওটাই হচ্ছে না, তাতে বিশেষ ভ‚মিকা রাখছে রক্তের গ্রæপ। সম্প্রতি ডেনিশ গবেষণায় গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, ডেনমার্কের করোনা সংক্রমিত ৭ হাজার ৪শ’ ২২ জনের মধ্যে মাত্র ৩৮.৪ শতাংশের রক্ত গ্রæপ ‘ও’ এবং তাদের মধ্যে ৪১.৭ শতাংশই আরোগ্য লাভ করেছে। তুলনামূলকভাবে, ‘এ’ গ্রæপের রক্তে সংক্রমণের হার ৪৪.৪ শতাংশ এবং তাদের আরোগ্যের হার ৪২.৪ শতাংশ। দেশটির ওডেন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয় গবেষক ড. টরবেন ব্যারিংটন বলেছেন, ‘আমরা জানি না যে এটি ‘ও’ গ্রæপের রক্তের কোনও সুরক্ষার ধরন কি না, বা এটি অন্য রক্তের গ্রæপগুলির মধ্যে কোনও প্রকার দুর্বলতা কিনা।’
এছাড়া, কানাডিয়ান সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ‘এ’ বা ‘এবি’ গ্রæপের করোনা রোগীদের ‘ও’ গ্রæপের তুলনায় করোনা ঝুঁকি সর্বোচ্চ এবং অসুস্থতার হারও মারাত্মক বেশি। ভ্যানকুভারের একটি হাসপাতালের ৯৫ জন গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ‘এ’ বা ‘এবি’ গ্রæপের করোনা রোগীদের কিডনি অচল হওয়ার কারণে ভেন্টিলেশন এবং ডায়ালাইসিসের বেশি প্রয়োজন পড়েছে। ‘ও’ এবং ‘বি’ গ্রæপের তুলনায় হাসপাতালের ইনটেননিভ কেয়ার ইউনিটে তাদের গড়ে দীর্ঘ ১৩ থেকে ১৪ দিন অবস্থান করতে হয়েছে এবং তাদের তুলনায় বাকিদের গড়ে ৯ দিন হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়েছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. মাইপিন্দার সেখন বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণার অনন্য অংশটি হ’ল, রক্তের ধরনে কোভিড-১৯’র তীব্র প্রভাবের ওপর আমাদের লক্ষ্য। আমরা ফুসফুস এবং কিডনির ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করেছি এবং ভবিষ্যতের গবেষণায় আমরা রক্তের গ্রæপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে কোভিড-১৯’র প্রভাব বের করে আনতে চাই।’
এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি তত্ত¡ থাকলেও গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নন যে, বিভিন্ন রক্তের গ্রæপ এবং করোনাভাইরাসের মধ্যে এ সংযোগের পরিষ্কার ব্যাখ্যা করা সম্ভব কি না। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, এসংযোগের কারণগুলো এখনও স্পষ্ট নয় এবং রোগীদের ওপর এর কী কী প্রভাব রয়েছে, তা ব্যাখ্যা করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে, এর আগে, বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে, করোনাভাইরাস রোগীদের মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলার ক্ষেত্রে বয়স এবং ওজনই মূল কারণ। সূত্র : ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।