পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০’। দিবসটি উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথ উদ্যোগে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যতœ নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যত।’ জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮১ সাল থেকে সারাবিশ্বে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্ভাব্য খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এসময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় সোনারগাঁও হোটেলে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন। আন্তর্জাতিক সেমিনারের পর বেলা আড়াইটায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে একটি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বিশ্ব খাদ্য দিবসে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল মানুষকে অবহিতকরণের জন্য মোবাইলে সচেতনতামূলক খুদে বার্তা প্রেরণ, জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় (বাংলা ও ইংরেজি) বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ও তাৎপর্য সম্বলিত পোস্টার/বিলবোর্ড/ভিডিও/ম্যাসেজ/ডকুমেন্টেশন প্রচার, ‘কৃষিকথা’ ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, কয়েক দফা বন্যায় রোপা আমন বীজতলা, চারা ও মাঠে দÐায়মান ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পোষাতে বিনামূল্যে চারা বিতরণ, ভর্তুকি সহায়তা ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে রোপা আমন ধানের আবাদে সহায়তা দেয়া হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমেও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বোরো ধান বীজ কেজি প্রতি ১০ টাকা হারে ভর্তুকি প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, প্রতি ইঞ্চি জায়গা চাষের আওতায় এনে পারিবারিক পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের ৪৩৯৭টি ইউনিয়নে ৩২টি করে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৮৭টি পরিবারে পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষে প্রতি ইউনিয়নে নতুনভাবে ১০০টি করে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হচ্ছে।
বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ পুনর্বাসন কর্মসূচি হিসেবে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ কোটি টাকা দিয়ে ৯ লাখ ২৯ হাজার ১৯৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষককে গম, সরিষা, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী, খেসারী, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ইত্যাদি ফসল আবাদের জন্য বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ কাজ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।