পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শিল্পায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে পণ্যের দৃষ্টিনন্দন মোড়ক নয়, গুণগত মানের ক্ষেত্রেও বিশ্বমানের সক্ষমতা অর্জনের তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বুধবার (১৪ অক্টোবর) ৫১তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ‘শিল্পখাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন : নিরাপদ ও টেকসই পৃথিবী গড়তে ‘মান’র ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব কে এম আলী আজম এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ এবং বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর মতো প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুণগত শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে একমাত্র মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ গুরুদায়িত্ব বিএসটিআই’র ওপর বর্তায়। সরকার ইতিমধ্যে বিএসটিআইকে আধুনিক মান নিয়ন্ত্রণ ও মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় এবং বিভাগ পর্যায়ের দফতরে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, করোনার এই ক্রান্তিলগ্নেও কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নানাভাবে নষ্ট ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করছেন। এরা যত বড় ব্যবসায়ী হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন।
শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন, মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন করলে ক্রেতারা ঠকবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা হারাতে হবে। বিএসটিআইয়ের বিভাগীয় শহরের ল্যাবরেটরিগুলোকে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে অবহিত করেন শিল্প সচিব।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম রফতানির বাধাগুলো অপসারণ ও কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়া আরও সহজতর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআইয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএসটিআই’র মহাপরিচালক নজরুল আনোয়ার বলেন, মান প্রণয়নের পাশাপাশি মান বজায় রাখা, লাইসেন্সবিহীন পণ্য এবং নকল পণ্য/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএসটিআই অভিযান/মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে বিএসটিআই সারাদেশে ১০৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৮৯টি মামলাসহ ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- এবং ১৪৫টি সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।