পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আবদুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে ভয় দেখাবেন না।তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার ‘৭১’ কে হাতিয়ার বানিয়ে, বাংলাদেশের ইতিহাসে লজ্জাজনক 'বিদ্বেষী' প্রচার মাধ্যম ও পদ্ধতির প্রবর্তক। আমাদের দেশের কোনো টিভি চ্যানেলই তাদের স্বার্থের বাহিরে গিয়ে ইসলাম ও ধর্মানুরাগীদের পক্ষে খুব বেশী কথা বলে না, কিন্ত ইসলামের বিরুদ্ধে বলতে অন্তত হিসেব কষে। এক্ষেত্রে শুরুর দিন থেকেই সকল রাখঢাক, শিষ্টাচার ও নীতিনৈতিকতা উপেক্ষা করে "ইসলাম বিদ্বেষী" হিসেবে একাত্তর টিভির আবির্ভাব! তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না- তাদের ঠেকায় কে- তাদের সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার ধরন দেখলেই যে কেউ বিষয়টি অনুভব করতে পারবেন। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা লিখেন।
তার পুরো স্ট্যাটাসটিতে তিনি লিখেন, সস্তা আবেগে না গিয়ে প্রথমে আমাদের ভাবতে হবে, এদের খুঁটির জোর কোথায়? সে খুঁটিতে পানি দেয় কারা? এতদূর বলার সাহস পায় কীভাবে? সাহসের যোগানদাতা কারা? মালিক পক্ষ আর কাদের ইশারায় তারা এগুলি করতে ও বলতে সাহস পায়? কিছু দায়িত্বহীন মানুষের বেফাঁস ওয়াজ যে ইসলাম নয়, এটা তারা খুব ভালো জানে, কিন্ত লাখো ওয়াজ-মাহফিল, জালসা আর তাফসীরুল কুরআন এর দাওয়াতি ময়দান আর লাখো নিষ্ঠাবান উলামায়ে কিরাম যে তাদের চক্ষুশুল- যাঁরা তাদের 'চেতনার' বাস্তবায়নে বাধা, এটা আজ প্রমানিত। একটা পোষ্টের হাজার হাজার কমেন্টের মাঝথেকে দু'চারটি কমেন্ট যেগুলি অশোভন ও বিদ্রুপাত্মক, মুসলিম নামধারীদের আইডি থেকে করা, সেগুলিই তাদের টিভি পর্দায় এমনভাবে দেখায় যেনো এদেশের সামগ্রিক ইসলাম ও মুসলিমদের চরিত্রই যেনো সেটি! ইসলাম যেনো নারী বিদ্বেষ শেখাতেই দুনিয়ায় এসেছে! ডানহাতের উপর বাম হাতে নামাজ, করোনার লাশ পুড়াতে তোরজোড়, পাশ্চাত্য সাজে সজ্জিত হয়ে অন্যের পোশাক নিয়ে পোদ্দারি, পাঠ্য পুস্তকে ইসলামী রীতি অপছন্দকরা, আদব লেহাজহীন চেঁচামেচি করে প্রশ্নকরে তার নাম 'সংযোগ' দেয়া, টার্গেট করে উলামায়ে কিরামকে অপমান, মাহফিলের মত ধর্ম প্রচারের মূল ফিল্ড বন্ধ করা, এগুলিই যে তাদের এজেন্ডা এখন তা পরিষ্কার। নারীবাদ, স্বাধীনতাপন্থী, ৭১ নাম ধারন এগুলি ধোঁকাবাজীর কৌশলমাত্র।
আমাদের বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ আলেমদের একটি প্রতিনিধিদলের দ্রুত - তাদের মালিক পক্ষ, স্যাটেলাইট টিভি এসোসিয়েশন, কেবল অপারেটর সংস্থা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে- এ বিষয় সহ- সম্প্রচার, বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন দেশের নানান বাজে চ্যানেলের কার্যক্রম ও তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহনের পরামর্শ ও সুপারিশ করা উচিৎ। বিশেষ করে একাত্তর টিভির মালিক পক্ষ বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই পরিচিত, তাদের গ্রুপ, পন্য ও তাদের ব্যাবসায়ীক বিষয়কে মাথায় রেখে নসিহত ও আশু পদক্ষেপ না নিলে তাদের ভবিষ্যৎ কি হতেপারে -আলেমগনের তা বুঝিয়ে দিয়ে আসা দায়িত্ব। প্রাজ্ঞ আলেমগনের আরেকটি দায়িত্ব -বলতে জানলেই বক্তা, যা ইচ্ছা তাই বলবে ইসলামের লেবাস পরে, নাম দিবে ইসলামী- কথা বলবে বে-ইসলামী, আর দোষ যেয়ে পড়বে শ্বাশত সুন্দর ইসলামের গায়ে, এরুপ নামধারী বক্তাদের ঘাড় ধরে এনে শুধরিয়ে দেয়া, কথা না শুনলে, এরপরও যা ইচ্ছে তাই ইসলামের নামে বললে- তাদেরকেও বয়কটের ডাক দেয়া, এবং জাতীর সামনে ভুল গুলো উল্লেখ করে প্রকৃত ইসলাম তৎক্ষনাৎ তুলে ধরা। এজন্য উলামায়ে কেরামের সিনিয়র, বিজ্ঞ ও মান্যবর একটি আলাদা ইসলাহী বোর্ড বা মাজলিস দ্রুত কায়েম করা।
একই সাথে আমজনতার বয়কট একাত্তর টিভি, আনফলো পেজ, জনমত তৈরী, আনসাবস্ক্রাইব চ্যানেল অব্যাহত রাখতে হবে। যদিও তারা এতে গা করেনা। কিন্তু আমাদের অন্তরের ঘৃনার দাম আল্লাহর কাছে আছে। দুনিয়ায় কেউ চিরস্থায়ী হবে না, কিন্ত ঈমানদাররা চীরস্থায়ী জীবনের বন্দোবস্থ করতেই দুনিয়ায় এসেছে। সুতরাং নিজে ইসলাম মানুন। ইসলাম, মুসলমান ও মানবতার পক্ষে থাকুন। বিরুদ্ধবাদীদের কাছে আরজ-আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে ভয় দেখাবেন না। ভয় করা জাত "মুসলিমরা" নয়। সব যুগে তার প্রমাণ দেয়া আছে। তাই দ্রুত শুধরিয়ে সোজা রাস্তায় চলুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।