পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিজরী সালের সফর মাসের আজ শেষ বুধবার মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্মারক দিবস হিসেবে পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও মিলাদ মহাফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদেও আখেরি চাহার শোম্বা উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনে আখেরি চাহার শোম্বা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নবী করিম (সা.) ইন্তেকালের আগে এদিনে কিছুটা সুস্থতা বোধ করেছিলেন। ফারসিতে এ দিনটিকে আখেরি চাহার শোম্বা নামে অভিহিত করা হয়। ফারসি শব্দমালা আখেরি চাহার শোম্বা অর্থ শেষ চতুর্থ বুধবার। রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনে শেষবারের মতো রোগমুক্তি লাভ করেন বলে দিনটিকে মুসলমানেরা প্রতিবছর ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসেবে পালন করেন। তাঁরা নফল ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে দিবসটি অতিবাহিত করেন। উম্মতে মুহাম্মদীর আধ্যাত্মিক জীবনে আখেরি চাহার শোম্বার গুরুত্ব ও মহিমা অপরিসীম।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন দারুল উলুম রামপুরা বনশ্রী মাদরাসার প্রিন্সিপাল শাইখুল হাদীস আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রিন্সিপাল শাইখুল হাদীস আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, মো. আনিছুর রহমান সরকার, উপ-পরিচালক আলমগীর হায়দার, আনিসুর রহমানসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারি ও সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।