পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ত্রিশালের আর্মি স্কুল অব ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস (এএসপিটিএস) কে আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় ‘আর্মি স্কুল অব ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস’ (এএসপিটিএস)-এর নবনির্মিত কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, এই কমপ্লেক্সটি সেনাবাহিনীর শারীরিক ও ক্রীড়া বিষয়ক একমাত্র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এখানে জুডো, কারাত, বক্সিং, মার্শাল আর্টসহ অস্ত্রবিহীন যুদ্ধ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে এই কমপ্লেক্সটিকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, এর আগে এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা সেনানিবাসে ছিল। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ত্রিশালের সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়। এ কমপ্লেক্সকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে এলাকারও অনেক উন্নয়ন হবে এবং এলাকাটি একটি নতুন রূপ ধারণ করবে। ত্রিশালের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রশিক্ষনার্থীদের ভালো লাগবে। এখানে যাতায়াতের জন্য যানবাহন ও আবাসিক সুবিধাসহ সকল ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। সেনাবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী যাতে উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে পারেন সেইভাবেই প্রতিষ্ঠানটিকে গড়ে তোলা হবে। গ্রামাঞ্চলের সেনাবাহিনীর মহড়া অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সেনাপ্রধান আরো বলেন, বিভিন্ন সময়ে গ্রামাঞ্চলে মহড়া শেষে সেনাবাহিনী যখন ব্যারাকে ফিরে যায় তখন গ্রামবাসীরা অকপটেই সেনা কর্মকর্তাদের বলে থাকেন মহড়াকালীন গ্রামের মানুষ নিরাপদে থাকেন। কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এটা মঙ্গলজনক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে অবতরণের পর সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ গত মঙ্গলবার ত্রিশাল সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন, বৃক্ষরোপণ, নবনির্মিত কমপ্লেক্সের ফলক উন্মোচন, কেক কাটা, ক্রেস্ট গ্রহণ এবং পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় মোমেনশাহী সেনানিবাসের আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক)-এর জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফি উদ্দিন, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামছুল হক, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তাজুল ইসলাম ঠাকুর, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেখার আনিস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফেরদৌস হাসান সেলিমসহ সেনাকর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আর্মি স্কুল অব ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস দেশীয় প্রশিক্ষণার্থী ছাড়াও শ্রীলংকা, সুদান, নেপাল ও প্যালেস্টাইনের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।