Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযুদ্ধে জমিয়তের ভূমিকাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই

আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ৮:১০ পিএম

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেছেন, ৭১এর মুক্তিযুদ্ধে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর ভূমিকা ছিল মজলুমের পক্ষে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের জমিয়ত নেতা মাওলানা মুফতী মাহমুদ সাহেবের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল তোমরা স্বাধীনতাকামী জনগণের পক্ষে কাজ করো। উক্ত নির্দেশনার আলোকে তৎকালীন জমিয়তের দায়ীত্বশীলেরা মুক্তিযুদ্ধে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে জমিয়তের অবদানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত মূছা আল হাফিজের "মুক্তিযুদ্ধ ও জমিয়ত" ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক দায় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সভাপতিত্বে এবং মুফতী বশীরুল হাসান খাদিমানীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া মান্নান, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহা উদ্দীন জাকারিয়া, মহাসচিব মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, জমিয়ত গ্রন্থ প্রণেতা মূছা আল হাফিজ, মাওলানা তাফাজ্জল হক আজীজ, খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ও মাওলানা রুহুল আমীন সাদী।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী অপর এক বিবৃতিতে ভারতের আসাম রাজ্যের সকল সরকারি মাদরাসা বন্ধ করে দেয়ার বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভরতের হিন্দুত্ববাদি বিজেপি সরকার মুসলিমবিদ্বেষী ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই আসামের সরকারি মাদ্রাসাসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার শুরু থেকেই ভারতকে মুসলিম শূন্য করতে কাজ করে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবেই তারা এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করেছে। শত শত বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে তদস্থলে রামমন্দির তৈরি করছে। পাশাপাশি মুসলমানদের উপর হামলা, মামলা ও নিপীড়ন বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মুসলমানদের নাগরিক ও মৌলিক মানবাধিকারে নতুন নতুন বাধা তৈরি করছে। ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে মুসলমানদের অবদানের পাঠ একে একে মুছে দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানের মুসলিম ঐতিহাসিক নামসমূহ দেব দেবির নামে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বিয়ে, তালাক, সম্পদবণ্টনসহ মুসলমানদের নিজস্ব পারিবারিক আইনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষায় মুসলমানদের সুযোগ সঙ্কুচিত করা হচ্ছে। মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগি, ধর্ম পালন এবং খাদ্যাভ্যাসের মতো সাধারণ বিষয়েও বিধিনিষেধ আরো করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ