পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জনদাবির মুখে আইনটি দ্রুত পাশ করায় অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন। আবার অনেকেই আইনটির ভালো-মন্দ নানা দিক তুলে ধরে মন্তব্য করেছেন। সর্বোপরি সদ্য অনুমোদিত আইনটির যথাযথ প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
আগামীকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ফেসবুকে মোঃ শোহেল আরমান লিখেছেন, ‘‘সর্বোচ্চ আর একমাত্র দুটো কথার মাঝে বিশাল গ্যাপ আছে। আমরা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চায় না, আমরা ধর্ষকের শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড চায়। ধর্ষণসহ সকল প্রকারের অপরাধ নির্মুল করতে পারে একমাত্র আল্লাহর হুকুম তথা কুরআনের বিধান।’’
উমর ফারুক লিখেছেন, ‘‘এই আইনতো কুরআন আরো চৌদ্দ শত বছর পূর্বে করছিলো।তবে শুধু ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করলে পুরোপুরি নির্মূল হবে না।পাশাপাশি অশ্লীল বেহায়াপনা ও সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।তা না হলে যে লাউ সেই কদুই থেকে যাবে।কারন ধর্ষকদের মাথায় ধর্ষণ করার চিন্তা অশ্লীল দৃশ্য দেখেই সৃষ্টি হয়।এই অশ্লীলতা পর্দার মধ্যে থেকেও হতে পারে। আবার সরাসরি নারীদের অশ্লীল পোশাক দেখেও হতে পারে। এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই।’’
রেজাউল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রশাসন চাইলে ধর্ষণ নামটা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় করতে পারবে। তার জন্যে দরকার স্বাধীন আইন প্রনয়ণ ব্যবস্থা। আইনের হাত যখন কালো হয়ে যায় তখন আর আইন থাকেনা, জনগণ ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বিরত থাকে। সেজন্যে আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে সদিচ্ছা থাকতে হবে।
বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ রাজনীতির সাথে জরিত। একজন আরেকজন ফাসানোর চেষ্টা করাই তাদের নীতি। এই আইন প্রনয়ণ হলে ধর্ষণ মামলা বেড়ে যাবে।’’
আবুল কাহার লিখেছেন, ‘‘মৃত্যুদন্ড দিয়েও ধর্ষন কমবে না। বরং ধর্ষন তার আপন গতিতেই বাড়তে থাকবে। একমাত্র ইসলামিক অনুশাসনই পারে ধর্ষন কমাতে। তাই দেশে সম্পূর্নরূপে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার কোন বিকল্প নেই।’’
আহমেদ মনি লিখেছেন, ‘‘আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেনো আসামিরা পার না পায়। আইনের দ্রুত প্রয়োগ চাই। আইনের ফাঁক গলিয়ে যেনো আসামিরা বেরিয়ে যেতে না পারে।’’
দেলোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘‘অনেকে প্রেম পিরিতি করে চলে যৌনতা নিজের সম্মতিতে কিন্তু ব্রেকআব বা সম্পর্কে ফাটল ধরলে বা ছেলে পরে বিয়ে করতে রাজি না হলে তখন মামলা করে ধর্ষণের ,এ ক্ষেত্রে এই আইনের অপব্যবহার হবে এবং অনেক নিরঅপরাধ জীবন নষ্ট হবে, মৃত্যুদণ্ড আইনটা সব ক্ষেত্রে কার্যকর উচিত হবে না ।’’
আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ‘‘খুব ভালো হয়েছে তবে আইন ইম্পলিমেন্ট করা জরুরি... খুনের সাজা কিন্তু ফাসি এখনো আছে কিন্তু তারপরও কয়জনের শাস্তি হচ্ছে? তাই আমি মনে করি দল মতের উপরে উঠে ধর্ষকদের শাস্তি দিতে হবে তা না হলে এই আইনের কোন মূল্য থাকবে না.....।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।