পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ধর্ষকের ফাঁসি হওয়ার বিষয়টি ‘ধাপ্পাবাজি’। ধর্ষণের মতো এত বড় কাজ যারা করে, তাদের দুই মিনিটেই ফাঁসি! দুই মিনিটেই সবশেষ। এটা কেন? তাদের ৫০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হওয়া উচিত।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। নারীর ওপর পৈশাচিক নির্যাতন বন্ধ কর, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত কর এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে ‘আট স্তম্ভ‘ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ ও পদযাত্রার (প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত) আয়োজন করা হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা ফাঁসির আন্দোলন না করে ৫০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের দাবি জানান। সম্রাটের মতো কারাদন্ড নয়। পিজি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসপাতালে ১১ মাস তারা ভিআইপি কেবিনে কাটায়। এ ধরনের ছলনা আর যেন না হয়। তিনি বলেন, আপনারা যদি মনে করেন, এ আন্দোলন থেমে যাবে, এটা ভুল। থামলেও আপনি শান্তি পাবেন না। বঙ্গবন্ধু কবরে বসে শান্তি পাবেন না। উনি নিশ্চয়ই দুঃখ পাচ্ছেন আজকের বাংলাদেশ দেখে। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অনুরোধ করা। আপনি রাস্তায় নেমে আসেন, নিজ চোখে দেখেন। ডিজিটাল বাদ দিয়ে আসেন এখানে, আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান। তবেই জাতি বুঝবে, আপনি এ জাতীয় সমস্যার সমাধান করতে চান।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনাদের বাড়ি ও প্রেসিডেন্ট হাউজ থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করেন। আপনাদের জীবনের এত ভয় কীসের? ভয় যদি থাকে তবে সামরিক বাহিনী দিয়ে পাহারা দেয়ান। এই পুলিশ বাহিনীকে তার দেশের শৃঙ্খলা নিয়োগে রাখেন। প্রতিটি বাসে, রেলপথে পুলিশ দেন। রাস্তাঘাটে পুলিশ দেন। প্রতিটি গার্লস স্কুলে মেয়েদের ক্যারাতি শেখান। ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে খেলাধুলার পাশাপাশি শিক্ষার পরিবর্তন আনেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনি যদি সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করেন, তার কন্যা হিসেবে আপনার কাজ হবে একটা সত্যিকার নির্বাচন দেয়া। মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া। নয়তো ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না। আপনি অনুগ্রহ করে ভারতীয়দের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে চলাফেরা করবেন না। প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনার মঙ্গল চাই। আপনার সুশাসন চাই। আমরা চাই, আপনার আমার কারো মেয়ে যেন ধর্ষিত না হয়। তা যে হবে না তার কোনো নিশ্চিয়তা নেই।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এবং পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদউদ্দিন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আক্তার হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।