পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৬ অক্টোবর বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ
ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ ব্যভিচার দিন দিন বাড়ছে। ধর্ষণ সামাজিক মহামারিতে পরিণত হচ্ছে। শরীয়াহ আইনে ধর্ষণের বিচার হলে ৯৯% ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষের জান-মাল ও ইজ্জতের নিশ্চয়তা বিধান ইসলাম ছাড়া সম্ভব নয়। ইসলামী বিধানমতে ধর্ষণকারীদের শাস্তির আইন পাশ করতে হবে। সারাদেশে নারী নির্যাতন ধর্ষণসহ নারীর প্রতি বর্বরতা এবং আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে আজ বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন ইসলামী দলের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ অক্টোবর বিভাগীয় পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বাদ জুমা ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরী: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে নারী নির্যাতন ও সারাদেশে ধর্ষণ আইন শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা ইমরান নূর, অধ্যাপক আব্দুস সবুর প্রমুখ। ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, দুর্নীতি রাহাজানি, ছিনতাই, চুরি ডাকাতি, যেনা ব্যভিচার, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন দিন দিন বেড়েই চলছে। সরকার কোন কিছুরই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তিনি বলেন, শরীয়াহ আইনে ধর্ষণের বিচার হলে ৯৯% ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে। মাদানী বলেন, মানুষের জান মাল ও ইজ্জতের নিশ্চয়তা বিধান ইসলাম ছাড়া সম্ভব নয়। তিনি ১৬ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পরে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকারর মসজিদ থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে নাইট এ্যাঙ্গেল পৌঁছলে পুলিশী বাধার মুখে সেখানেই নেতৃবৃন্দ মোনাজাতের মাধ্যমে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সফল করায় পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ : দেশে নারী নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও খেলাফত আন্দোলনের (একাংশের ) আমীরে শরীয়ত মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ধর্ষণ নারী নির্যাতনের ঘটনা যেভাবে দিন দিন বাড়ছে তাতে জনগণের জান মাল ইজ্জত আব্রুর কোন নিরাপত্তা নেই। তিনি অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদে কুরআনের আইন পাশ করে ধর্ষণের শাস্তি কার্যকর করুন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আজিজুর রহমান ও মাওলানা মো. ইয়ামিন। পরে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিচারের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
খেলাফত মসজিলস : খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন বলেছেন, মানুষের জান মাল ও ইজ্জাতের কোন নিরাপত্তা নেই। সাম্প্রতিক ধর্ষণসহ সকল জুলুম নির্যাতনের কঠোর বিচার করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এসব অপরাধিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে ধর্ষণ ব্যভিচার দিন দিন বাড়ছে। ইসলামী বিধানমতে ধর্ষণকারীদের শাস্তির আইন পাশ করতে হবে। ধর্ষণ, হত্যা নির্যাতনের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ডাঃ রিফাত হোসেন মালিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল হালিম, এডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, ফয়জুল ইসলাম, হাজী নূর হোসনে, সাহাব উদ্দিন খন্দকার, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার।
তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাত বাংলাদেশ: তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাত বাংলাদেশের আমীর জৌনপুরী দরবার শরীফের পীর আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দীকী বলেছেন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ মহামারীর প্রতিবাদে উত্তাল সারাদেশ। সকল মানুষের দাবি হচ্ছে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত সর্বোচ্চ বিচারের ব্যবস্থা করা। তাই যেভাবেই হোক ধর্ষণ প্রতিরোধ করুন। নতুবা দেশের মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসবে। তখন সরকার কোন কূল কিনারা পাবে না। আজ বাদ জুমা নারায়ণগঞ্জের আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, মাওলানা আবদুর রহীম, মাওলানা বরাতুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক ও মাওলানা আরিফুর রহমান।
বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ : বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, দেশ থেকে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে কুরআনী আইন পাশ করতে হবে। তিনি অবিলম্বে জাতীয় সংসদে শরীয়া আইন পাশ করে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। মসজিদে রহমানিয়া গাউসিয়া : চট্টগ্রামের বায়েজীদ বোস্তামীস্থ মসজিদে রহমানিয়া গাউসিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আল-কাদেরী দেশে নারী ধর্ষণ, হত্যা নির্যাতন বন্ধে যথাযথ শাস্তি কার্যকর করতে হবে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ আব্দুল হামিদ সর্দার, মাওলানা সৈয়দ মুনিরুদ্দিন কাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন আল আযহারী , মাওলানা সোলাইমান আলী কাদেরী, মাওলানা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও মাওলানা সাজেদুর রহমান হাশেমী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।