Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীকে যুক্ত করেছে ৮ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

এমনটা বলা হয়ে থাকে যে ‘রাজধানী ঢাকা থেকে আপনি যেকোনো শহরেই যান না কেন আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পার হতে হবে।’ ৪৫ বছর পূর্বে বাংলাদেশ-চীন ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে আজ পর্যন্ত চীন সরকার চায়নাএইড কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশে আটটি সেতু নির্মাণ করেছে। এগুলো সব বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।
বাংলাদেশ-চীনের ৪৫ বছর ক‚টনৈতিক সম্পর্ক পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাস এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। আটটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় (এন) সড়ক, চারটি আঞ্চলিক (আর) সড়ক এবং তিনটি জেলা (জেড) সড়কগুলোকে সংযুক্ত করেছে। সেতুগুলো ফেরি পারাপারের ক্ষেত্রে যানজটের সমাধান করেছে। যেগুলোর পরিবহন ক্ষমতা ছিল সীমিত, একই সাথে স্থানীয়দের যাতায়াত ব্যবস্থাকে সহজতর করেছে। আঞ্চলিক যোগাযোগকে উন্নত করেছে এবং বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে৷
এন-৮ (ঢাকা থেকে পটুয়াখালী জাতীয় সড়ক) হাইওয়েতে নির্মিত সেতুটি ছিল প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা কিনা ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের একটি প্রধান সড়ক। দ্বিতীয় সেতুটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বয়ে চলা একমাত্র করিডোর। তৃতীয় সেতুটি বাংলাদেশের আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম পরিবহনের জন্য মহানন্দা নদীর উপর নির্মিত প্রধান সেতু। চতুর্থ সেতুটি পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীর ওপরে অবস্থিত প্রথম সড়ক সেতু। ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলের উপর নির্মিত পঞ্চম সেতুটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেতু। ষষ্ঠ সেতুটি মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী পেরিয়ে ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র সেতু। সপ্তম সেতুটি মাদারীপুরের আড়িয়ালখা নদীর উপর বিস্তৃত এবং এটি ৮৬০ হাইওয়ের নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প বা কন্ট্রোল প্রজেক্ট।
অষ্টম সেতুটি পিরোজপুরের কচা নদীর দুই পাড়কে সংযুক্ত করবে, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সরাসরি সড়কপথে বরিশাল ও খুলনায় প্রবেশ করতে পারবে এবং সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এন-৭ এবং এন-৮ মহাসড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এ সকল বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু কেবল সেতুর দুই পাড়ের জনসাধারণের জন্য নির্ভরযোগ্য যাতায়াত-ব্যবস্থাই নিশ্চিত করেনি বরং চীন এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন বিনির্মাণ করেছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৯:১৭ পিএম says : 0
    আমি ছোট বেলায় বড়দের কাছে থেকে শুনেছি যে, সেই আসল বন্ধু যার সহযোগিতা সামান্য (দেখতে অল্প) হলেও স্থায়ী আর সেই দেখানো বন্ধু যে প্রচুর দেয় কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। যেমন কোন একবন্ধু ২০ টাকা দিয়ে (সেসময়ে প্রচুর টাকা) বড় রুই মাছ কিনে দিল এতে গরীব বন্ধু কয়দিন খুবই মজা করে খেলেন, এটা এই বন্ধু সাময়িক ভাবে মজা করে খাওয়ালেন। কিন্তু অপর বন্ধু ৫ টাকা দিয়ে (অল্প টাকা দিয়ে) একটি বরশী সরঞ্জাম সহ কিনে দিলেন এতে করে গরীব বন্ধু সেটা দিয়ে প্রতিদিন ছোট মাছ ধরে খেতে পারছেন, যায় মানে স্থায়ীভাবে প্রতিদিন মাছ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। এখানে হয়েছে তাই চীন আমাদেরকে এমনভাবে সহযোগিতা করেছে যে সেটা আমরা প্রকাশ্যে সেভাবে দেখতে পাচ্ছিনা। তবে চীনের এই সাহায্যের কারনে দেশের উন্নয়নে প্রচুর সহযোগিতা করছে। কাজেই আমার সেই ছোট বেলার শিক্ষা অনুযায়ী আমি বলতে পারি চীন হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ