Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে খাদ্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে : এফএও

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২০, ৭:০২ পিএম

মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাল, গম, আলু, ডাল ও ভুট্টার মজুদ রয়েছে। বর্তমানে চালের যে মজুদ আছে তা দিয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। অন্যদিকে গম, আলু, ভোজ্য তেল, ডাল এবং ভুট্টার মজুদ দিয়ে আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব যথাক্রমে ২১ জানুয়ারি ২০২১, ৭ এপ্রিল ২০২১, ২১ নভেম্বর ২০২০, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ এবং ৩০ এপ্রিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ধান কৃষকের ঘরে উঠবে। তাই দেশের ধান-চাল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।

জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর সহযোগিতায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মহামারীকালে বাংলাদেশের বাংলাদেশের খাদ্য মজুদ ও বাণিজ্য’ শীর্র্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা সোমবার (৫ অক্টোবর) একথা বলেন। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজিত ৫টি ওয়েবিনার সিরিজের এটি ছিলো চতুর্থ ওয়েবিনার।

এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের বাজার ও বাণিজ্য নীতি উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান করোনা মহামারীকালে বাংলাদেশের খাদ্য মজুদ ও বাণিজ্য বিষয়ে ওয়েবিনারে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বুরো ধানের উৎপাদন পূর্বের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। একই সময়ে গমের উৎপাদন হয়েছে ১ দশমিক ২৪৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন যা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর বাইরেও ৫ দশমিক ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম আমদানীর পরিকল্পনা করা হয়েছে যা দিয়ে বাংলাদেশে গমের চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

ড. মনিরুল হাসান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ১১ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ দশমিক ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৭ দশমিক ৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করেছে। জুন ২০১৯ সালের ধান-চাল সংগ্রহের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০২০ সালে ক্রয় লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ৩১ শতাংশ কম।

ড. মনিরুল হাসান বলেন, ২০১৯-২০ সালে সরকারিভাবে ৭৫ হাজার টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও গম কেনা হয়েছে মোট ৬৪ দশমিক ৫ হাজার টন। তিনি বলেন, পাবলিক ফুড ডিস্টিবিউশন সিস্টেম নির্বিঘেœ পরিচালনার জন্য সরকারের উচিত যথাসময়ে গম আমদানী করা।

একই সঙ্গে চলতি মৌসুমে দেশে অলুর উৎপাদন হয়েছে ১১ মিলিয়ন টন যা দিয়ে দেশের আরো ১১ মাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাছাড়া দেশে বর্তমান ভুট্টার যে মজুদ আছে ১০ মাস পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ভোজ্যতেলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটাতে আমদানীর নির্ভরশীল। প্রতিবছর বিশাল পরিমান পাম অয়েল ও সয়াবিন আমদানি করতে হয়। ভোজ্য তেল আমদানীর জন্য নিয়মিত এলসি খোলা হচ্ছে।

এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের প্ল্যানিং অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন স্পেশালিস্ট ভাস্কর গোস্বামী খাদ্য পণ্যের বাণিজ্য বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ভাস্কর গোস্বামী বলেন, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কম ছিলো। তবে খাদ্যপণ্যের দাম জুন থেকে নিয়মিত বাড়ছে।

পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চীফ ট্যাকনিকাল অ্যাডভাইজর নাওকি মিনামিগওসি। ওয়েবিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের ন্যাশনাল পোভার্টি অ্যান্ড সোস্যাল প্রোটেকশান অ্যাডভাইজর প্রফেসর মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ হেলথ্ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ ও কৃষি সাংবাদিকতা ফোরামের সভাপতি আশরাফ আলী।

ওয়েবিনারে স্বাস্থ্য ও কৃষি বীটের মোট ৩০ জন সংবাদকর্মী অংশ নেন। ওয়েবিনারে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন পিআইবি সিনিয়র প্রশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ