পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোর হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রশিদুল ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে শহিদুল ইসলাম বুলু (৫৯) নামে ঐ ব্যক্তিকে এ সাজা দেয় আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বি এম তারিকুল কবীর এ রায় প্রদান করেন।
এছাড়াও ওই মামলার অপর আসামি বাহাদুর আলীর (৫৯) বিরুদ্ধে ৩২৩ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম বুলু(৫৯) উপজেলার দক্ষিন রাজাগাঁও গ্রামের মৃত জাকারিয়ার ছেলে এবং বাহাদুর আলী একই গ্রামের সংলু কশাইয়ের ছেলে।
এছাড়াও আসামি আশরাফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, খাদেমুল ইসলাম, একরামুল হক, শাহাদুর, সলিম উদ্দীন ওরফে সংলু কশাই, রজব আলী, শামীম হোসেন, শাহিনুর, মোছা ফরিদা বেগমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ জুন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম তার ২ সহোদর ভাই শাহালম ও রশিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে পৈত্রিক জমিতে হাল চাষ করতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর দন্ডিত আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে লাঠি সোটা লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীকে হালচাষে বাঁধা দেয়। বাদী তাদের বাঁধা দেয়ার কারণ ও মালিকানার পক্ষে কাগজ দেখতে চাইলে আসামি শহিদুল ইসলাম বুলুর হুংকারে আসামিরা বাদীর উপর চড়াও হয় এবং মারপিট শুরু করে। বাদীকে মারপিট করায় তার অপর ২ ভাই তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা তাদের উপরও হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন ২ জুন বিকেল ৪ টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রশিদুল ইসলাম মারা যায়।
এ ঘটনায় মৃতের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৭ সালের ২৬ এপ্রিল তদন্ত শেষে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।