পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জেলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কুমিল্লায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এক নারীসহ ২, চট্টগ্রামে নগরীতে ফ্লাইওভারে পিকআপ ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবক ও হবিগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রীসহ ২ জন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নগরীতে ফ্লাইওভারে পিকআপ ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মোটরসাইকেল আরোহী মো. রায়হান (২৫) বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল মজিদের ছেলে। গতকাল শনিবার বিকেলে আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের খুলশী থানার দামপাড়া গরীবউল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খুলশী থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, রায়হান নগরীর লালখান বাজার থেকে ফ্লাইওভারে মুরাদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। গরীবউল্লাহ শাহ’র মাজার এলাকায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত রায়হানকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাসের সাথে উল্টা পথে আসা মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫জন যাত্রী। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেনী অভিমুখি স্টার লাইন পরিবহনের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখি একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে মাইক্রোবাসের চালক ও এক নারী যাত্রী মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধারের পর ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায় এবং আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় মহাসড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি সাফায়েত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, নিহতদের লাশ ও দুর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে এবং বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক এনজিও কর্মী এবং এক মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মাধবপুর উপজেলায় রতনপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এবং মনতলা এলাকায় পৃথক সময়ে এ দুর্ঘটনা দুইটি ঘটেছে। নিহতরা হলেন আফজাল মিয়া (৫৪) জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর এলাকার রজব আলীর ছেলে। বেসরকারি সংস্থা আশা’র মাধবপুর উপজেলার জগদীপুর শাখার ফিল্ড অফিসার ছিলেন তিনি। আর নিহত জেসমিন আক্তার (১৪) উপজেলার মনতলা (মেলাসানি) গ্রামের নুর হোসেনের মেয়ে। মনতলা মহিলা কওমি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ জানান, শনিবার দুপুরে দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর এলাকায় অজ্ঞাত বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী আফজাল মিয়া (৫৪) নামে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অপরদিকে, মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, শনিবার সকালে মাদরাসা ছাত্রী জেসমিন আক্তার ও তার এক সহপাঠী রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। এ সময় মনতলা থেকে মাধবপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দ্রুতগতির একটি সিএনজি অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।