পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
# প্রতারক এজেন্সি টাকা তুলে নিচ্ছে
# বন্ধ এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা অনিশ্চয়তার মুখে
ফিরতি টিকিট গায়েব হওয়ায় আটকে পড়া শত শত সউদী গমনেচ্ছু যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতারক ট্রাভেলস এজেন্সি অনৈতিকভাবে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীর অজান্তেই ফিরতি টিকিটের টাকা তুলে নিচ্ছে। প্রতারণার শিকার এসব যাত্রীর পক্ষে চড়া দামে নতুন টিকিট ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব যাত্রী বর্তমানে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। প্রতারণার শিকার সউদী গমনেচ্ছু এসব যাত্রী মোবাইল ফোনে সউদীতে অভিযুক্ত ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোর সাথে ফিরতি টিকিটের টাকা গায়েব বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, নতুন টিকিট কেটে সউদী চলে আসুন। এসব বিষয় পরে দেখব। গতকাল শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাইরে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে সউদীগামী একাধিক অসহায় প্রবাসী কর্মী এসব তথ্য জানান।
আজ শনিবার নগরীর সোনারগাঁও হোটেলে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের বাইরে ও মতিঝিলস্থ বিমান অফিসের সামনে সউদীগামী বিপুল সংখ্যক যাত্রী ফিরতি টিকিট না পেয়ে নিরাশ মনে বাড়ী ফিরছে। এছাড়া সউদীর সাথে অন্যান্য এয়ারলাইন্স চালু না হওয়ায় সেসব এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা নতুন ফিরতি টিকিট কিনে সউদী যাওয়ার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। সাউদিয়ার অফিসের বাইরে অপেক্ষমান এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রী চাঁদপুরের মনসুর , কুয়েত এয়ারওয়েজের যাত্রী বি-বাড়ীয়ার মো. ই¯্রাফিল, মো. রাব্বি মিয়া, রিপন ও চাঁদপুরের মাসুদ কন্না জড়িত কন্ঠে ইনকিলাবকে বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর এবং ৩০ অক্টোবর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তারা বলেন, সাউদিয়া ও বিমানে নতুন ফিরতি টিকিট কিনে সউদী যেতে ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা লাগবে। উল্লেখিত এয়ারলাইন্স চালু না হওয়ায় শত শত যাত্রীর সউদী যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তারা অবিলম্বে এসব এয়ারলাইন্স চালু করে আটকে পড়া যাত্রীদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হবার আগেই সউদী যাত্রী নিশ্চিতকরণের জোর দাবি জানান। ফেনীর যাত্রী মনি বলেন, আল্লাহ যদি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সউদীতে লইয়া যায়। না হয় সউদী কফিল আবুল ইব্রাহিম বলে দিয়েছে আমার ভিসার মেয়াদ আর বাড়াবে না। এক প্রশ্নের জবাবে সউদী প্রবাসী মনির বলেন, চাঁদপুরের ব্রাক ব্যাংক থেকে ঘর তৈরির জন্য তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে এখন গলার ফাঁস হয়েছে। প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকার কিস্তি দিতে না পেরে বাড়ীতে ঘুমাতে পারছি না। ঝিনাইদহের যাত্রী মো. সিদ্দিক ও চাঁদপুরের মো. মুসলিম গত ১২ দিন যাবত ঘুরেও সাউদিয়ার ফিরতি টিকিট পাচ্ছে না। আগামী ১২ অক্টোবর তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ। এ সময়ের মধ্যে সউদী যেতে না পারলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ফেনীর প্রবাসী ইকরামুল হকের ভিসার মেয়াদ আগামী ১১ অক্টোবর শেষ হয়ে যাবে। গত কয়েকদিন যাবত সাউদিয়ার অফিসের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও তার ভাগ্যে ফিরতি টিকিট জোটেনি। আজ সাউদিয়া এয়ারলাইন্স এক নোটিশে জানিয়েছে আগামীকাল রোববার ই-০১ থেকে ই-১০০ পর্যন্ত এবং ওয়াই সি-০১ থেকে ই-৩৫০ পর্যন্ত টোকেনধারী যাত্রীদের ফিরতি টিকিট দেয়া হবে। আগামীকাল ওয়াই সি-৩৫১ থেকে ই-৮০০ পর্যন্ত টোকেনধারীদের টিকিট দেয়া হবে। সাউদিয়ার অফিসের দক্ষিণ পার্শ্বে লেকের ওয়ালের শত শত সউদীগামী যাত্রীদের টোকেনের জন্য সারাদিন অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মতিঝিল বিমান অফিসের সামনে অপেক্ষমান বি-বাড়ীয়ার মো. সোহেল মিয়া ও মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের যাত্রী আকরাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রিয়াদের বাথা বাঙ্গালী মার্কেট আল-খালিজ হোটেলের ভেতরে (আল-রাজী হোটেল) আসফার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরিজম এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন ও তার মালিক আমাদেরসহ প্রায় ১শ’ সউদীগামী যাত্রীর ফিরতি টিকিটের হাজার হাজার রিয়াল প্রতারণার মাধ্যমে তুলে নিয়ে গেছে।
প্রতারণার শিকার এসব যাত্রী করোনায় বাংলাদেশে আটকে পড়ায় প্রতারক ট্রাভেলস এজেন্সি আসফার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরিজম অনৈতিকভাকে ফিরতি টিকিটের টাকা তুলে নেয়ায় বিমান এসব টিকিটকে ফলস উল্লেখ করে ফিরিয়ে দিচ্ছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার দুর্দিনে আমরা এমনিতেই ধার দেনা করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে টিকে আছি। এখন নতুন ফিরতি টিকিট কিনতে ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা কোথায় পাব ? আসফার ট্রাভেলসের মোবাইলে যোগাযোগ করেও তারা কোন সঠিক উত্তর পাচ্ছে না। শুধু ফোনে বলছে নতুন টিকিট কিনে সউদী চলে আসেন এ ব্যাপারে পরে আলাপ হবে। আজ রাতে রিয়াদে আসফার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরিজমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। আটাবের একজন কর্মকর্তা রাতে ইনকিলাবকে বলেন, কুয়েত এয়ারওয়েজ, এয়ার অ্যারাবিয়া, স্পাই জেড, ইন্দোগো, ওমান এয়ার, ফ্লাই দুবাই ও শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স সউদী রুটে এখনো ফ্লাইট চালু করতে পারেনি। গত ১ অক্টোবর থেকে সাউদিয়া ও বিমান প্রতি সপ্তাহে সউদীতে বিশটি ফ্লাইট চালু করছে। গত ১ অক্টোবর থেকে সউদী আরবে টার্কিস এয়ার, এমিরেটস, আল জাজিরা এয়ারলাইন্সও ফ্লাইট চালু করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।