পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেডিএ’র গৃহীত ৩টি প্রকল্প, খুবি’র প্রস্তাবিত এবং সওজ’র পৃথক দু’টিসহ মোট ৫টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যাবে খুলনার উন্নয়নের হাল হকিকত।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প এবং সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে তিনটি লিংক রোড নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে কেডিএ। প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়িত হলে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শহরের যানজট কমবে।
এর মধ্যে শিপইয়ার্ড চার লেন সড়ক নির্মিত হলে বদলে যাবে শহরের দক্ষিণ প্রান্তের প্রবেশ দ্বার। পাশাপাশি চারটি সড়কে যানবাহন চলাচল করায় এখানে যানজট কমবে। এই সড়কের ওপর ভিত্তি করেই এখানকার অবকাঠামো গড়ে ওঠবে। সরকারি অর্থায়নে ২০১৩ সালে খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে কেডিএ। পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত ছাড়পত্র, সড়ক ও কালভার্টের ডিজাইন কাজে কেডিএ এগিয়ে থাকলেও জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় বাস্তবায়ন কাজে সময় লেগেছে।
অপরদিকে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মহানগরী খুলনার ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখ অংশের গল্লামারী-জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত এক কিলোমিটার উভয়পাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, সার্ভিস রোড এবং একটি ফুটওভারব্রিজ অন্তর্ভূক্তির জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরাবর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান স্বাক্ষরিত অনুরোধ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই প্রকল্পেরই অন্তর্ভূক্ত গল্লামারী থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং গল্লামারীতে নির্মিত মহান স্বাধীনতার স্মৃতিসৌধটিও এই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। জিরোপয়েন্ট হলো খুলনার পশ্চিমাংশের প্রবেশ দ্বার। সেখান থেকে গল্লামারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতহাজার শিক্ষার্থী ও সহস্রাধিক শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারি এবং হাজার হাজার সাধারণ মানুষ খুলনা শহরে প্রবেশের আগে মহাসড়কের এ অংশ ব্যবহার করেন। নানা ধরণের অসংখ্য যানবাহনও এ মহাসড়কে চলাচল করে। ফলে ব্যস্ততম এ মহাসড়কটির জিরোপয়েন্ট থেকে গল্লামারী এক কিলোমিটার চারলেন করার পাশাপাশি এর উভয় পাশে সার্ভিস রোডসহ দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেটের আশপাশে শিক্ষার্থী ও সাধারণের নিরাপদ পারাপারের জন্য একটি ফুটওভার ব্রিজের অত্যন্ত প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ডিটেইল্ড এরিয়া ডেভলপমেন্ট প্লানেও (ডিএডিপি) বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মহানগরী খুলনার ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি খুব শিগগিরি আলোর মুখ দেখবে। সব মিলিয়ে খুলনার যানজট সমস্যা যেমন নিরাসন হবে তেমিন পাল্টে যাবে খুলনার চিত্র। দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠবে খুলনার প্রবেশদ্বারগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।