পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত্যু ওই গৃহবধূর নাম মোসা. শাহীনুর বেগম (২৬)। মৃত ওই নারী বিলবিলাস গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম খানের ছেলে মো. জুয়েলের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মো. হুমায়ুন কবির সরদারের মেয়ে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাহীনুরকে বদিউল আলম নামের এক ব্যক্তি নিকট আত্মীয় পরিচয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে গাড়ি আনার কথা বলে তিনি কেটে পড়েন।
গৃহবধূর শাহীনুরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, এমন খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে শাহীনুরের বাবার বাড়ির কয়েকজন স্বজন হাসপাতালে এসে লাশ পরে থাকতে দেখে বাউফল থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশটি থানায় নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, মৃত্যু ওই নারীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে নিকট আত্মীয় পরিচয়ের লোকটি শাহীনুর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানান, তবে আমার কাছে সে রকম মনে হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শাহীনুরের তিন বছরের এক মেয়ে ও চার মাস বয়সি এক ছেলে রয়েছে। স্বামী জুয়েল ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
শাহীনুরের ফুফু মোসা. রওশন আরা (৪৫) বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে, শাহীনুর স্ট্রোক করেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে শাহীনুরের লাশ দেখতে পাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই শাহীনুরকে তার শাশুড়ি মিনারা বেগম, ফুফুশাশুড়ি মমতাজ বেগম, ননদ নাসিমা বেগম ও মাকসুদা বেগম যৌতুকের জন্য বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করতেন। শাহীনুর আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে শাহীনুরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপন করেছে। ওই বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।