Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমি সুইডেনে থাকি। এখানে a-kassa নামে একটি সিস্টেম রয়েছে। লোকেরা এর সদস্য হতে পারে এবং তারা মাসিক অর্থ প্রদান করে । যদি তারা বেকার হয়ে যায় তবে তারা নতুন চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত কিছু টাকা বা পূর্বের চাকরীর ৮০% a-kassa থেকে পায়। আরও তথ্যের জন্য, a-kassa সুইডিস পাবলিক কর্মসংস্থান এর সাথে কাজ করে এবং এখানে প্রচুর ধরণের a-kassa রয়েছে এবং প্রত্যেকে বিজ্ঞাপন দেয় এবং তাদের a-kassa তে আসতে বলে। আরেকটি বিষয়, এমনকি যারা কোনও a-kassa র সদস্য নন তারাও বেকার হয়ে গেলে অর্থ পেতে পারেন, তবে তারা সদস্যের চেয়ে কম অর্থ পান। এটা হালাল নাকি হারাম?

মাহমুদুল হাসান
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ৭:১৮ পিএম

উত্তর: এইসব তহবিলের গঠন ও ব্যবস্থাপনা শরীয়তসম্মত কি না তা বিশদ না জেনে জায়েজ বা নাজায়েজ বলা ঠিক হবে না। প্রতিটি a-kassa র ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া ভিন্ন। মাসআলাও ভিন্ন ভিন্ন হবে। তবে, মানুষের বিপদের দিনে সহায়তা করা অনেক সওয়াবের কাজ। কিছু লোক মিলে সুসময়ে চাঁদা জমা করা এবং দু:সময়ে এখান থেকে সহায়তা নেওয়া দোষের কিছু নয়। যারা সদস্য তারা তো নিবেনই। যারা সদস্য নন তারাও যদি কিছু পান তাহলে এ নিয়মটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। চাঁদার বাইরেও সাধারণ ডোনেশন, চ্যারিটি ফান্ড ও রাষ্ট্রের সহায়তা দিয়ে এ তহবিল সমৃদ্ধ হলে সহায়তা নিতে কোনো অসুবিধা নেই। যে কোনো সমাজে এমন কল্যাণ ব্যবস্থা আশাব্যঞ্জক। তবে, এতে অবৈধ অর্থে তহবিল গঠন, ক্যাসিনো, হাউজি-জুয়া ও সুদের মিশ্রণ থাকলে মুসলিমদের জন্য এর সদস্য হওয়া বা সাহায্য নেওয়া হালাল হবে না। নির্দোষ সহায়তা তহবিল হলে হালাল হবে।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

 

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ