পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইসিডিডিআর,বি-র আন্তর্জাতিক বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. তাহমিদ আহমেদকে পরবর্তী নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এই নিয়োগে মাধ্য ড. তাহমিদ আহমেদ আইসিডিডিআর,বি-র ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে নির্বাহী পরিচালক পদ পেতে যাচ্ছে। ড. তাহমিদ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী পরিচালক পদে প্রফেসর ক্লেমেন্সের স্থলাভিষিক্ত হবেন। যিনি ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আইসিডিডিআর,বি প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ড. তাহমিদ আইসিডিডিআর,বি-র ৬০ বছরের গৌরবময় ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে নির্বাহী পরিচালক পদে বসছেন। এ বিষয়ে ড. তিনি বলেন, আইসিডিডিআর,বি’র প্রথম বাংলাদেশী নির্বাহী পরিচালক হওয়া নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের বিষয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আমি দেশি- বিদেশী ৪ হাজার জনেরও অধিক কর্মীর একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানটিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তিনি গবেষণার ব্যাপ্তিকে আরও বিস্তৃত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আইসিডিডিআর,বি-র বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ন্যান্সি ওয়াই চেং বলেন, ড. আহমেদ একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, যিনি বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ সম্মানিত। আমি নিশ্চিত, তার নেতৃত্বে আইসিডিডিআর,বি বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুবিধা উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
ড. তাহমিদ ১৯৮৫ সালে আইসিডিডিআর,বি-তে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্ব^রে আইসিডিডিআর,বি-র নিউট্রিশন ও ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর নিযুক্ত হন। করোনা মহামরির শুরু থেকে নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর জন ক্লেমেন্সের নির্দেশনায় ড. তাহমিদ আইসিডিডিআর,বি-র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, পুষ্টি বিষয়ক গবেষণায় ড. তাহমিদ আহমেদ একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী। এক্ষেত্রে তার ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা। তার গবেষণা এবং এর বাস্তবায়নে শিশুদের অপুষ্টি, যক্ষ্মা এবং ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা সহজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৩৬০ টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ড. তাহমিদ আহমেদ ঢাকার সেইন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল এবং নটরডেম কলেজের পড়া শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনের শুরুতে একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ শুরু করলও ১৯৮৫ সালে আইসিডিডিআর,বি-তে যোগ দেন। ঢাকা শিশু হাসপাতালে আবাসিক প্রশিক্ষণ শেষে জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ড. তাহমিদ আহমেদকে মেডিকেল সায়েন্সে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ড. সুলতান আহমেদ চৌধুরী স্বর্ণপদক প্রদান করে। ২০১৮ সালে ড. আহমেদ ইসলামী ব্যাংক ডেভলপমেন্ট ট্রান্সফর্মারস পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।