পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের আমীর শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমাদ শফী (রহ.) সারা জীবন কোরআন-সুন্নাহর খেদমত ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে দেশকে অসংখ্য সুশিক্ষিত ও আদর্শ নাগরিক উপহার দিয়ে গেছেন। আল্লামা শফী (রহ.) এর মেহনতে অগনিত মানুষ অপরাধ এবং পাপের পথ ছেড়ে ইসলামের সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছেন। কুরআন-হাদিস প্রচার-প্রসারে তাঁর অপরিসীম ত্যাগ ও কুরবানী জাতির কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, মহান আল্লাহ যুগে যুগে একজন মহামানব প্রেরণ করে ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপক খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। আল্লামা শফী (রহ.) বাংলাদেশে সহি ইসলামী আক্বিদা প্রচার ও ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেছেন। তিনি সারা জীবন শিরক-বিদআত, অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৩ সালে আল্লাহ-রাসূলের (সা.) দুশমন ও ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসী আস্ফালনের বিরুদ্ধে এ দেশের ওলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতাকে নিয়ে ইতিহাসের নজিরবিহীন গণআন্দোলন ডাক দিয়ে ছিলেন। তাঁর অনুসরণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় আল্লামা আহমদ শফী (রহ.) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা শেখ আজিমুদ্দিন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতি ইলয়াছ মাদারীপুরী, মুফতি হাবিবুর রহমান,মুফতি আবুল হাসান কাসেমী ও মাওলানা আব্দুর রহমান বেতাগী প্রমূখ।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াযী বলেন, একটি মহল আল্লামা শাহ আহমাদ শফীর (রহ.) মৃত্যু নিয়ে তদন্তের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা অমূলক বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত করছে। এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেন, আল্লামা আহমদ শফী (রহ.) বিরল সন্মানে ভূষিত হওয়ার পিছনে কারণ ছিল ছাত্র জীবন থেকে তিনি নিয়মিত তাহাজ্জত গুজার ছিলেন। তাছাড়া তিনি সারা জীবন দেওবন্দিয়াতের চেতনার ফসল রাতের সাধক ও দিনের মুজাহিদ তৈরীতে মশগুল ছিলেন।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমাদ শফী একটি সংগ্রাম, একটি ইতিহাস ও একটি বিপ্লবের নাম। তিনি ছিলেন একজন বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন, লক্ষ লক্ষ আলেমের ওস্তাদ, মুসলিম উম্মাহর মুরব্বী ও রাহবার। ঈমান-ইসলামের প্রশ্নে কোন বাতেলের সাথে আপোষ করতেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।