পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করা আসামি রবিউল জড়িত নন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ ‘প্রকৃত সন্ত্রাসীদেরকে বাঁচানোর অসৎ উদ্দেশ্যে রবিউলকে বর্ণিত মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে রবিউলের বড় ভাই মো. রহিদুল ইসলাম এর পক্ষে চাচাতো ভাই রশিদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় রবিউলের মা, ভাই রহিদসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
রবিউলের ভাই রশিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ঘোড়াঘাট ইউএনও কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর থেকেই রবিউল ইসলাম বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় নিজ বাসভবনে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন ইউএনও ও তার বাবা। যার সঙ্গে আমার ছোট ভাই রবিউল ইসলামের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।
আমরা ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মারফত বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে বিভিন্ন জনের নাম জানতে পারি যা গোটা দেশবাসী মিডিয়ার মাধ্যমে অবগত হয়েছেন। এরই এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ডিবি পুলিশ আমার ছোট ভাই রবিউলকে আমাদের বাড়ি থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে ধরে নিয়ে যায়।
তিন দিন পর মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার মামলায় ডিবি পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে তার উপর চাপ সৃষ্টি করে। পরে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে রবিউল একাই মেরেছে বলে আদালতে জবানবন্দি প্রদানে বাধ্য করেছে।
প্রকৃতপক্ষে আমার ছোট ভাই রবিউল বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে কোনো কিছু জানে না এবং সে ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। প্রকৃত সন্ত্রাসীদেরকে বাঁচানোর অসৎ উদ্দেশ্যে আমার ছোট ভাই রবিউলকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীর বিচার কামনা করছি। এ ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার কামনা করা হয়।
এ সময় রবিউলের গ্রামের স্থানীয়রা বলেন, ঘটনার আগের দিন রাত ৮টা পর্যন্ত রবিউলকে এলাকায় দেখেছেন তারা। আবার পরের দিন সকাল ৬টার সময়ও মুসল্লিরা তাকে এলাকায় দেখেছেন। ৩ তারিখ সকালে রবিউলকে তার নিজ জমিতে ঘাস নিড়ানি করতে দেখেছেন। রবিউল ঘোড়াঘাটে যাননি বলেও দাবি করেন তারা।
প্রশ্ন করা হলে রবিউলের ভাই রশিদুল ইসলাম বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর নারাজীর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত আসামিদের বিচার দাবি করছি। ওই দিন রাতে তারা সব ভাই মিলে একসঙ্গে ভাত খেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তাদের অভিযোগ গত ১৭ তারিখে আদালতে জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে পরিবারের কারো সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। এমনকি কারাগার থেকে সপ্তাহে ১দিন মোবাইলে কথা বলার সুযোগ থাকলেও রবিউলকে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।