পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নামেবেনামে মাত্র দু’টি টেন্ডার দাখিল করেই ই-হজ ব্যবস্থাপনার আইটি’র কাজ বাগিয়ে নিতে বহুল আলোচিত বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড ফের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আবারও তারা এ কাজ পেতে যাচ্ছে। করোনা মহামারির সুযোগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটি কোটি টাকার আইটি ফার্ম নিয়োগে চলছে নানা টালবাহানা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এখন এ বিষয়টি বহুল আলোচিত।
জানা গেছে, ২০১৪-১৫ সালে চিহ্নিত হজ এজেন্সীর অনিয়মের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে অনলাইনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। আর সেই কাজটি তখনকার হজ শাখার যুগ্ম সচিবের সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে কোন টেন্ডার ছাড়াই শুধুমাত্র চুক্তির ভিত্তিতে এ কাজ পায় বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মচারি জানিয়েছেন, কাজটি স্থায়ীভাবে কলেবর বাড়াতে তখন অনলাইন নিবন্ধনে ’সিমকার্ড’ ও হিন্দু নাম অন্তর্ভুক্ত করে বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড। তখনকার হজ অফিসের পরিচালক হজ বজলুল হক বিশ্বাসের সহযোগিতায় হজ অফিসে বসে এসব অনিয়ম করে বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড। তাদের পরিকল্পনায় তখনকার হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। পুরস্কার স্বরূপ চাকরি শেষে সাবেক পরিচালক (হজ) বজলুল হক বিশ্বাসকে নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি দেয় বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড। পরিচালক হজ বজলুল হক বিশ্বাসের আশীর্বাদে হজ অফিসের পিয়ন কাম টাইপিস্ট সুহিল মো. সোহেলও কোটিপতি বনে যায়। তার ব্যাংক একাউন্টে প্রায় দেড় কোটি টাকার এফডি আর পাওয়া যায়। এ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসব দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়র ওই সব সূত্র বলছে, অনলাইন নিবন্ধনের শুরুতে নিজেদের সার্ভার বন্ধ করে টাকার বিনিময়ে অন্য এজেন্সীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তখন মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ওই তদন্ত রিপোর্টের ফল চূড়ান্তভাবে লেখা হয় বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের অফিসে। এ উপলক্ষে দুইদিন অভিজাত হোটেল থেকে আনা খাবার পরিবেশন হয়। ইচ্ছামতো রিপোর্ট দেয়ার জন্য তদন্তকারীদের বকশিসও দেয়ার অভিযোগ ওঠে ।
এবার ই-হজ ব্যবস্থাপনার আইটির কাজ নবায়নের জন্য অটোমেশন বেশ আগেভাগেই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা বিজনেস অটোমেশনকে কাজ পাইয়ে দিতে সাফাই গাইছেন। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম আইটি ফার্ম নিয়োগে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ দিবেন না এবং সজাগ রয়েছেন বলে জানা গেছে। সাজানো টেন্ডার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্রের দাবি, মন্ত্রণালয়ের অনেক সাফল্য মøান হয়েছে বিজনেস অটোমেশনের কারসাজির কারণে।
অভিযোগের বিষয়ে বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল হাসান মিতুল ইনকিলাবকে বলেন, টেন্ডার ছাড়া আমরা কখনোই কাজ পাইনি। ৫ বছর পর পর টেন্ডার হয়। গত বছর আগের ৫ বছরের টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হয়। গত বছরও টেন্ডারে আমরা অংশগ্রহণ করি। তবে টেন্ডারটি বাতিল হয়ে যায়। পরে ১ বছরের জন্য টেন্ডার করে গত বছর আমাদেরকেই কাজটি দেয়া হয়। গত বছর হজ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাই নতুন করে মন্ত্রণালয় থেকে আবার টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। আমরা তাতে অংশগ্রহণ করেছি। আজ মঙ্গলবার ই-হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রেজেন্টেশন রয়েছে। জাহিদুল হাসান মিতুল বলেন, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড ছাড়াও টেন্ডারে আরও একটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। তবে সবকিছু বলার পরে মিতুল বলেন, এ সব বিষয়ে লিখতে হলে অফিসে প্রশ্ন পাঠিয়ে তারপর উত্তর দিলে সেটা লিখবেন। অন্যথায় এ বক্তব্য লেখা যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।