পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মূল্য ও কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্তকরতে যুবদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। পরিকল্পিত যুব-উদ্যোগ তামাক কোম্পানীর অপকৌশলকে প্রতিহত করে দেশে একটি সময়োপযোগী ও শক্তিশালী তামাক কর কাঠামো প্রতিষ্ঠিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাই তামাক কর কার্যক্রমে যুব অংশগ্রহণ বৃদ্ধি জরুরি।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো (বিইআর) এবং বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে আয়োজিত ‘তামাক কর কার্যক্রমে যুব অংশগ্রহণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে একথা বলেন বক্তারা। অনলাইন মিটিং প্লাটফর্ম জুম-এ ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে তামাক বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নসহ তামাক বিরোধী কর্মকা- পরিচালনায় বাংলাদেশ আজ যেখানে এসে পৌঁছেছে তার পিছনে তরুণদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে আমাদের সামনে বড়ো প্রতিবন্ধকতা তামাক কর বৃদ্ধি। আশা করি অন্য সমস্যার মতো তামাক কর বৃদ্ধিও যুবদের সাহায্যে করা সম্ভব হবে।
প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ বলেন, তামাক কর কার্যক্রমে যুবদের অংশগ্রহণ খুবই জরুরি। কারণ যুবদের ছাড়া কোনো ক্যাম্পেইনই টেকসই নয়। যুবরা যদি তামাক কর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তাহলে তারা একটানা অনেকদিন দেশে তামাকমুক্ত করণে কাজ করতে পারবে। এজন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তামাক কোম্পানি তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য তরুণদের টার্গেট করে থাকে, সেই তরুণদেরকেই তামাক কোম্পানির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর, বিইআর’র ফোকাল পার্সন এবং বিএনটিটিপির টেকনিক্যাল কমিটির কনভেনর ড. রুমানা হক। তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোন ইতিবাচক আন্দোলনে মূল চালিকা শক্তি হলো যুবশক্তি। উন্নয়নমুখী যে কোনো কর্মকা- যুবদের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। ফলে আমরা দেশকে তামাকমুক্তকরণের পদক্ষেপ হিসাবে তামাক কর ব্যবস্থাকে সংস্কার করে সময়োপযোগী করার যে দাবী জানাচ্ছি সেটাতে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এসব যুবদের নেতৃত্বেই আগামী দিনে আমরা দেশকে তামাক মুক্ত করতে পারবো বলে প্রত্যাশা করছি।
বিএনটিটিপি এর প্রজেক্ট অফিসার ইব্রাহীম খলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপি’র গবেষণা সহযোগী আদিবা কারিন বাংলাদেশে তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের তরুণ ও অভিজ্ঞ সদস্যগণ তামাক কর কার্যক্রমে যুবদের অংশগ্রহণের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।