পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ীÑবাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতি লাখে ২২১ জন নতুন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে এবং প্রতি লাখে ২৪ জন মূত্যু বরণ করে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০ টি দেশের মধ্যে যক্ষ্মারোগী সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে আশাব্যঞ্জক হচ্ছে, যদি যক্ষ্মারোগী নিয়মিত ও নির্দিষ্ট মেয়াদে ওষুধ সেবন করে তাহলে সবধরণের যক্ষ্মারোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সাফল্যের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। এটাই এই সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড প্রেক্ষাপটে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি), বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত। বৈঠকে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. রুপালি শিশির বানু।
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম-এর সভাপতি তৌফিক মারুফ-এর সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজ ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, এনটিপি বাংলাদেশ অন গ্লোবাল ফান্ড অ্যান্ড এমডিআর টিবি-এর অ্যাডভাইজার ডা. মো. আব্দুল হামিদ সেলিম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাকিল আহমেদ প্রমূখ।
প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তকরণে জিন এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে এই সংক্রান্ত সেবা আরও জোরদার হবে।
প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তরণই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। শনাক্তকরণের হার বাড়লেই আমাদের এখন যক্ষ্মায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ৯৬ শতাংশ সাফল্য এসেছে, তা অব্যাহত রাখা যাবে। আর তা সম্ভব হয়েছে রোগীদের সচেতনতাবৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা, সরকারি-বেসরকারী পর্যায়ে অংশীদারিত্বেও ভিত্তিতে।
ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটা বেশ আশাব্যঞ্জক। তবে এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানো। অনুষ্ঠানে বক্তারা, যক্ষ্মা বিষয়ে অনুসন্ধানী ও ইতিবাচক প্রতিবেদন করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।