পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা একটি বিশেষ পরিস্থিতি আছি। করোনায় দেশের সাড়ে ৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ৫ হাজারের ওপর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এটা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই সামন্যা। আমাদের সুস্থতার হার অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। কিন্তু তাতে আমরা তুষ্ট নই, আমরা এই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমাতে চাই। আমাদের যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেক অনেক সমালোচনা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের প্রশংশা করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিন আয়োজিত ‘শতাব্দীর মহামারি- বাস্তবতা ও আমরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সময়মতো আমরা ভ্যাকসিন পাবো। বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করছে। যারা অগ্রগামী আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি, তারাও যোগাযোগ রাখছেন। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, সামনে শীত মৌসুম আসছে, তখন করোনা বাড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রীও সেজন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন। আমরা জানি শীত মৌসুমে অনেক কিছু বেশি হয় যা অন্য সময় হয় না। এ সময় বিয়ে, পিকনিক এসব বেশি হয়। এগুলো একটু সীমিত আকারে করার অনুরোধ জানাই। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত ও আমাদের খাওয়া দাওয়া, পরিবেশ সবই প্রায় একই রকম। অথচ সেখানে মৃত্যু সংখ্যা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, সোস্যাল ডিসটেন্সিং বাংলাদেশে অসম্ভব, তাই আমরা ফিজিক্যাল ডিসটেন্সে এখন গুরুত্ব দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশই সোস্যাল ডিসটেন্স নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক গাইডলাইন দিয়েছি। সবাই যে সেটি মানছে না তা কিন্তু না, তবে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন। তাই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রামে-গঞ্জের অবস্থা অনেক ভালো। গ্রামগুলোর দিকে দেখলে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমরা আশা করি সবাই মিলে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলা করতে পারব।
সোসাইটি অব মেডিসিন এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. বিল্লাল আলম এর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–ুয়া, স্বাচিপ সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব প্রফেসর এম এ আজিজ, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থন করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবীর। তিনি বলেন, কোভিড পৃথিবীতে একটি টর্নেডে রূপে এসেছে। যা গোটা পৃথিবীকে বিপর্যস্থ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।