আশ্বিন মাস দ্বিতীয় সপ্তাহ অতিক্রম করছে। বৃষ্টিবাহী মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাবে দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে রংপুর বিভাগের ডিমলায় ১৭৮ মিলিমিটার। 

এ সময় ঢাকায় ২৫, চট্টগ্রামে ৯৮, সীতাকুন্ডে ১৪৬, সৈয়দপুরে ৯৫, তেঁতুলিয়ায় ১১৯, দিনাজপুরে ৭২, মংলায় ৪৩ মি.মি.সহ অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণ হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা জোরালো। বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নিচে নেমে এসেছে। অধিকাংশ স্থানে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা আরও নিচে। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ৩১.৮ ও সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৩.৫ এবং সর্বনিম্ন স›দ্বীপ ও সীতাকুন্ডে ২৪ ডিগ্রি সে.।
আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপক‚লের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।