পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা পরিস্থিতিতে উদ্ভূত সংকট কার্যকরীভাবে মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ বর্তমানে বৈশ্বিক হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই উভয় ঝুঁকি প্রশমনে আমাদেরকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। আর তা করতে হবে ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে।
যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে একথা বলেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা। নিবন্ধটি গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।
নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গতমাসে আমার দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি এতে বাস্তুচ্যুত হয়। লাখ লাখ হেক্টর জমির ধান বন্যার পানিতে ভেসে যায়। ফলে লাখ লাখ মানুষের জন্য এ বছর খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে।
দুর্যোগ কখনো এককভাবে আঘাত হানে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত মে মাসে বন্যার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। তবে কোভিড-১৯-এ মৃত্যু ও আক্রান্তের হার এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিডের কারণে অর্থনৈতিক লকডাউন আমাদের বস্ত্র শিল্প ও রফতানিকে আঘাত করেছে। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বর্তমানে বেকার।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও লাখ লাখ মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা পদ্ধতি ও অর্থনীতিকে নিরাপদ করার চেষ্টা করছে বলেও নিবন্ধে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক মোট নিঃসরণের ৮০ শতাংশের জন্য জি-২০ দেশগুলো দায়ী বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।