পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্ধের মতো সারা দেশে নতুন নতুন সড়ক নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেখানে রাস্তার প্রয়োজন, শুধু সেখানেই প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। অহেতুক বা অপ্রয়োজনে কারো বাড়ির পাশে রাস্তা নেয়ার জন্য বাড়তি সড়ক না নির্মাণেরও নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষি জমি রক্ষায় নতুন সড়ক নির্মাণের চেয়ে বিদ্যমান সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের ওপর বেশি জোর দিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রবাসী যারা দেশে ফিরে এসেছেন, তাদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে একনেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এসে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গীস, আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন আকন্দসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। শুধু সড়ক নির্মাণ করলে হবে না। আমাদের আর্থিক সক্ষমতা, কারিগরি সক্ষমতারও হিসাব নিকাশও রাখতে হবে। এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মূল বার্তা হলো, সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। সড়ক চিন্তা করে বানাতে হবে। যাতে এটা আমাদের যথাযথভাবে কাজে লাগে, যাতে এটা রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। রাস্তাটি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে যাবে, এই ধরনের মানসিকতার বাইরে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। জমি সুরক্ষা করতে হবে, বেশি সড়ক নির্মাণ করলে জলাভ‚মির দেশে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এটা জ্ঞানীরা আগেই বলেছেন। এই সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সাবধান হতে বলেছেন, সড়ক নির্মাণ যারা করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, যাদের অল্প জমি রয়েছে এবং সেই জমিতে বাড়িঘর করে থাকছে, সেসব জমি অধিগ্রহণ থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল একনেক সভায় ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর জেলার দিগাপাইত-সরিষাবাড়ি, তারাকান্দি সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ শিরোনামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে এসব নিদের্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে গতকালের একনেক সভায় ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ছয়টি অভয়াশ্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করা হবে। ৩০ হাজার জাটকা জেলে পরিবারে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। দশ হাজার জেলে পরিবারকে বৈধ জাল বিতরণ করা হবে। দেশের ২৯ জেলার ১৩৪ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসহ গতকালের একনেকে ৫ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পুরো অর্থই ব্যয় করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খাঁচায় অন্যান্য মাছ চাষের জন্য জেলেদের প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য মাছের উৎপাদন বাড়াতে খাচায় মাছ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেলেদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতে একদিকে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে তারা বিকল্প কাজ হিসেবে অন্য মাছ যেমন চাষ করতে পারবেন, তেমনি মাছের উৎপাদনও বাড়বে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৭৩টি কম্পোজিট আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোষ্ট নির্মাণ, ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট শাস্তি নিবাস নির্মাণ, ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে ১টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন প্রকল্প।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।