পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী শীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলে তখন ফের লকডাউন দেয়ার বিষয়টি এখনও সরকারের মধ্যে নতুন পরিকল্পনা নেই। তবে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার সব পন্থা রেখেই নতুন কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য সংশ্লিষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুলোকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়ার আশঙ্কাকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইজিপি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ (পিএসও) সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ যদি আসে আমরা টোটাল প্রোগ্রামকে ভাগ করে নিলাম। ক্লিনিক্যাল সাইডটা আমাদের এক্সপার্টরা রেডি করবেন। যদি রোগটা বিস্তার করে কীভাবে তার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান হবে। যেহেতু শীতের সময় অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি থাকবে, সেটাকেও ইমিডিয়েটলি সবাইকে সচেতন করে দেওয়া এবং তারও একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান রেডি করা। ব্যাপক প্রোমোশনাল ক্যাম্পেইন চালাতে হবে সবাই যাতে মাস্ক পরে। সবাই যাতে দূরত্বটা বজায় রাখে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সবাই যাতে মেনে চলে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পুলিশ, সেনাবাহিনী কীভাবে এনফোর্সমেন্ট করবে সেই ওয়ার্ক প্ল্যানও করা হবে। আমাদের দেশে ব্যাপক লোকজন বাইরে থেকে আসছে ও যাচ্ছে। তাদেরকে কীভাবে পূর্বসতর্কতামূলকভাবে ট্রিটমেন্ট করব যাতে বাইরে থেকে আর ভাইরাস না আসে। বিমানবন্দরে সেনাবাহিনীর বড় টিম আছে, উনারা দেখাশোনা করছেন। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোকে নতুন পরিকেল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। পরিকল্পনা করে ওপেন করে দেব।
করোনা কলে অভিযান বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, সিনারির উপর ডিপেন্ড করবে। যদি কোনো রকম ইমপ্যাক্ট না হয়, আমাদের মূল কথা থাকবে আমরা ইকনমিকে সচল রাখব ইনশাল্লাহ। সংবাদিকদের আর এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিসগুলো কীভাবে চালাবে সেই দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি),স্থানীয় সরকার বিভাগ ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদগুলোকে ব্যবহার করে কোভিড-১৯ নিয়ে মানুষকে আরও সচেতন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের ইউনিয়ন পর্যন্ত কর্মচারী আছে, তারাও এ বিষয়ে কাজ করবেন। গণমাধ্যমেরও একটা বড় ভূমিকা আছে। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কা এলে ফের লকডাউন দেওয়া হবে কি না,এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা এখনও এটা চিন্তা করিনি। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা এখন কোলাবরেশন উইথ সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ফরেন মিনিস্ট্রির সাথে, এয়ারপোর্টে এবং বিভিন্ন এন্ট্রিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজন থাকে। অনেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আসে তারা কোভিড ফ্রি। যারা নিয়ে আসেননি তারা কতদিন সেখানে হোম কোয়ারেন্টিইনে ছিলেন সেই সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। যাদের এ রকম কোনো সার্টিফিকেট নেই, কোনো কিছু নেই এবং যাদের সন্দেহ হয়, তাদের আমরা ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাই।
পিএসও বলেন, করোনা যখন পিকে ছিল তখন সাড়ে তিন হাজারের মতো ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনের ক্যাপাসিটি ছিল। সেখানে পনেরশ’র উপরে উঠে নাই। এজন্য আমরা এটাকে (ধারণ ক্ষমতা) কমিয়ে দুই হাজারের মতো রেখেছি। এতে আমাদের সাশ্রয় হচ্ছে। পিএসও মাহফুজুর রহমান বলেন,যদি আবার রিভাইভ করে, সিচুয়েশন খারাপ হয়ে যায় তাহলে আমরা কোয়ারেন্টিন সুবিধা আবার সাড়ে তিন হাজারে নিয়ে যাব। যারা কোভিড ফ্রি এবং ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করে এসেছেন তাদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়া লাগে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।