পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, তার বড় ছেলে হাসান মেহেদী রহমান ও পৌরসভার কাউন্সিলর ওমর সিদ্দিক লালুর ২০ লাখ ৩০ হাজার ৫০৫ টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা গেছে, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখায় অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট তিনজনের ব্যাংক হিসাবের ওই টাকা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ হওয়া টাকার মধ্যে পৌর মেয়র মুজিবুরের ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৬০১ টাকা, তার ছেলে হাসানের এক লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ টাকা ও কাউন্সিলর ওমরের ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা রয়েছে। দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশ্বস্ত একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল গতকাল সকালে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখায় অভিযান চালিয়ে এই টাকা জব্দ করেছে। ইতোপূর্বে কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মো. কায়সার নোবেলের এক দফায় ১ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার টাকা মূল্যের ১.০১১১ একর জমি, আরেক দফায় ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও কক্সবাজার শহরে ৪টি ফ্ল্যাটও জব্দ করা হয়েছে।
দুদকের ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজারে ভ‚মি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত চলাকালে সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাবেদসহ কক্সবাজার জেলার ১০ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান করছে দুদক। এই ১০ জনের মধ্যে কক্সবাজারে কর্মরত তিনজন সাংবাদিকও রয়েছেন। এই অনুসন্ধানকালে ভ‚মি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ঘটনায় পৌর মেয়র মুজিবুর, তার ছেলে হাসান ও কাউন্সিলর ওমরের নামও উঠে আসে।
দুদকের সূত্র মতে, অনুসন্ধানে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাবেদের নামে বেসিক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক কক্সবাজার শাখায় ইতোপূর্বে ২০ কোটির বেশি টাকার সন্ধান পায় দুদক। ওই টাকা জব্দের পর কক্সবাজার জেলা ডাকঘরে আরও ৮০ লাখ টাকার সন্ধান পেয়েছে সংস্থাটি। সর্বশেষ ইউনিয়ন ব্যাংকের কক্সবাজার শাখায় আরও ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
সূত্র জানিয়েছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন ব্যাংকে সঞ্চিত ওই ৪২ লাখ টাকা জব্দ করতে অভিযান চালায় দুদক। ওই সূত্র জানায়, মেয়র মুজিবুর, ছেলে হাসান ও কাউন্সিলর ওমরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে গতকাল সকালে কক্সবাজার শহরের থানা রাস্তার মাথায় স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখায় অভিযান চালায় দুদক। ওই ব্যাংকে তিনজনের হিসাবে ২০ লাখ ৩০ হাজার ৫০৫ টাকা পাওয়া যায়।
অভিযোগ মতে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভ‚মি অধিগ্রহণ শাখায় কথিত মধ্যস্থতার (দালালি) নামে অবৈধ উপায়ে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে দুদক। তাই পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, ছেলে হাসান মেহেদী, কাউন্সিলর ওমরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এছাড়াও একই অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলর নোবেলের নামে চলমান ব্যাংক হিসাবে পাওয়া ২০ কোটি, ডাকঘরে পাওয়া ৮০ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৪২ লাখ টাকা এবং কক্সবাজার শহরের অভিজাত বেস্ট ওয়েস্টিন হোটেলে দুটি ফ্ল্যাট, ওয়ার্ল্ড বিচ হোটেলে একটি ও আরেকটি আবাসিক বিল্ডিংয়ে একটি ফ্ল্যাট জব্দ দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ ও তিন সাংবাদিকসহ জেলার ১০ জনের হিসাব অনুসন্ধান করছে দুদক। এছাড়াও রামু চাকমারকুল এলাকার এন আলমকে দুদকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ দাবি করছে একটি পক্ষ মেয়রের সুনাম নষ্ট করার জন্য এসব অপপ্রচার করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।