পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ক্যাপিটাল মার্কেটে তালিকাভুক্ত হলো ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ার লেনদেন শুরু হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশী মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড হিসেবেও ওয়ালটনের স্বীকৃতি রয়েছে।
এ বিষয়ে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব পার্থ প্রতিম দাশ বলেন, ওয়ালটন শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। আশা করছি- পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হলে বিনিয়োগকারীরা খুশি হবেন। বিনিয়োগকারীদের কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণ করতে ওয়ালটন সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
জানা গেছে, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও আবেদন গত ৯ আগস্ট শুরু হয়ে ১৬ আগস্ট শেষ হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ৩৯ কোটি ৩ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়ে ওয়ালটনের আইপিওতে, যা ৯ দশমিক ৫৯ গুন বেশি। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে গত ৬ সেপ্টেম্বর ওয়ালটনের শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এদিকে গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে জমা হয়েছে।
গত ২৩ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭২৯তম কমিশন সভায় ওয়ালটনকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত টাকা থেকে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণ, ৩৩ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ ও ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা আইপিও পরিচালনা বাবদ ব্যয় করা হবে।
এর আগে গত ২ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ওয়ালটনের নিলাম (বিডিং) শেষ হয়। দেশে সর্বপ্রথম ডাচ পদ্ধতিতে বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৩১৫ টাকা।
আইন অনুসারে, কাট-অব প্রাইসের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৮৩ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির শেয়ার ইস্যু করার কথা ছিল। তবে করোনা মহামারি, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা ও দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে কাট-অব প্রাইসের ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৫২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করেছে ওয়ালটন হাই-টেক কর্তৃপক্ষ। ওয়ালটন হাই-টেকের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভি ২৪৩.১৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি মুনাফা বা ইপিএস ৪৫.৮৭ টাকা। আর বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে ইপিএস অর্জিত হয়েছে ২৮.৪২ টাকা।
তথ্য মতে, দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ইপিএস নিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছে ওয়ালটন। পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের মতো এতো বেশি ইপিএস নিয়ে আগে কোনও কোম্পানি আইপিওতে আসেনি। শুধু তাই নয়, ইপিএস ও এনএভি বিবেচনায় বর্তমানে শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর তালিকায়ও রয়েছে ওয়ালটন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশীয় কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ অর্থবছরের প্রকাশিত এনএভি বিবেচনায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওয়ালটন। আর তালিকাভুক্ত দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়ালটনের এনএভি শীর্ষ ৫ এ। এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ইপিএস বিবেচনায় ওয়ালটন অষ্টম স্থানে রয়েছে। এমনকি তালিকাভুক্ত খ্যাতনামা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর চেয়েও ওয়ালটনের ইপিএস বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।