পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার উপর হামলা’র ঘটনায় গ্রেফতার মালি রবিউলকে ৬ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হবে। ইতিমধ্যে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি প্রেস ব্রিফিংয়ে রবিউলকে গ্রেফতার এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, মইসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে রিমান্ড শেষে আজ তাকে আবারও রিমান্ডে নেয়া হবে নাকি সে স্বেচ্ছায় ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিবে সে বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এদিকে রিমান্ড থাকা অবস্থায় পুলিশের কাছে কি তথ্য দিয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে খবর প্রচারিত হয়েছে। সে সব খবরে রবিউলের উপর ১৬ হাজার আবার কোনো প্রতিবেদনে ৪০ হাজার আবার কোনো প্রতিবেদনে ৫০ হাজার টাকা চুরির দায় চাপানো হয়। রবিউল চাকরি বাঁচাতে ইউএনওকে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও তাকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়। এই ঘটনা গত ফেব্রুয়ারি মাসে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনিও এ ঘটনার সঠিক তথ্য স্পষ্ট করে জাননি। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, হামলা ঘটনার পর থেকে তথ্য প্রদানে পুলিশ অনেকটা সাবধানী এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এড়িয়ে যান। অথচ রিমান্ডে থাকাকালীন রবিউলের স্বীকারোক্তি’র বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রকাশ হওয়ায় সচেতন মহলে ব্যাপক আলোচনা’র ঝড় উঠেছে। অপরদিকে, পরিবার থেকে পরিকল্পিতভাবে রবিউলকে ফাঁসানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। রবিউলের শশুর বাড়ী থেকে হাতুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তার শশুর আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন। রবিউলের স্ত্রী বলেছেন, পুলিশ তাকে নিয়ে শশুর বাড়ি থেকে হাতুড়ি নিয়েছে। তবে পুলিশ বরাবর একই কথা বলছে তদন্ত সাপেক্ষে হামলার কারণ এবং হামলাকারীকে চিহ্নিত করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। রিমান্ডে থাকা রবিউলের কাছে কি তথ্য এবং প্রমাণ পেয়েছে আদালতে হাজিরের পর এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ইউএনও ও তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এছাড়াও তার বাবা ওমর আলী শেখকেও ঢাকা আনা হচ্ছে। তাকেও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা দুইজনের শারীরিব অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।