Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আপিল-ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১০ জনের আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এএমজি সারোয়ার পায়েল শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আহসান। পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর।

শুনানি সম্পর্কে ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, মামলার পেপারবুক থেকে বিচারিক আদালতের রায়ের অপারেটিং অংশ উপস্থাপন করেছি। একজন আসামির জবানবন্দি উপস্থাপন (শুনানি) করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির সর্বোচ্চ শাস্তি দেন। আদালত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। এছাড়াও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেন।

মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর। পাশাপাশি আসামি মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। আসামি আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দন্ড দেয়া হয়। এ মামলার রায়সহ সব নথি ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টে আসে। আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ৩ বছর।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ