পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কথা রাখেনি ভারত। কথা ছিল, ভারত অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আগেভাগেই বাংলাদেশকে জানাবে তারা। শেষ পর্যন্ত এই কথা রাখেনি ভারত। গত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতকে কূটনৈতিক চ্যানেলে বার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশ খুব দ্রুত ভালো ফলাফলের প্রত্যাশা করছে।
পেঁয়াজ রফতানি বন্ধে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। ভারত সরকারের এই ঘোষণা দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালের আলোচনায় যে কথা এবং পারস্পরিক সমাঝোতা হয়, তার প্রতি অবিচার হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থিত ভারতের হাইকমিশনে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠায়।
ঢাকায় অবস্থিত ভারতের হাইকমিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রফতানি বিষয়ে হঠাৎ করে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সে বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ। বিষয়টি বাংলাদেশের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ সম্মানের সঙ্গে জানাতে চায় যে, চলতি বছরের ১৫-১৬ জানুয়ারি দুদিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের যে বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ করেছিল। বাংলাদেশ আরও অনুরোধ করেছিল যে, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের ওপর যদি নিষধাজ্ঞা দিতেই হয় তাহলে বাংলাদেশকে যেন আগাম জানানো হয়। এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর অক্টোবরে ভারতে ভিভিআইপি সফরেও তুলেছিলেন এবং তখনও অনুরোধ করা হয়েছিল যে, এমন ঘটনা ঘটলে তা যেন আগাম জানানো হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালে যে কথা এবং সমাঝোতা হয়েছিল, ভারত সরকারের ১৪ সেপ্টেম্বরের ঘোষণা, সেই কথা এবং সমাঝোতার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাতে পারেনি। দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে সোনালি অধ্যায় বিরাজ করছে, বাংলাদেশ সেই সম্পর্কের খাতিরে হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারতের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশে আবার পেঁয়াজ রফতানি চালুর অনুরোধ জানাচ্ছে।’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে ভারতের নোটিশটি আমরা জানা মাত্রই নয়াদিল্লির বাংলাদেশ মিশন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে অলিখিত কথা ছিল যে, ভারত অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতনি করবে এবং এ নিয়ে যদি কোনো পরিবর্তন থাকে তবে ভারত বাংলাদেশকে আগে জানিয়ে দিবে। বন্ধু প্রতিম দেশ দুটির মধ্যে এরকম একটি সমাঝোতা আছে। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছি এবং প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পাব।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘গত ছয় মাসে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় দু’গুণ বেড়েছে। সামনেই বিহারের বিধানসভা ভোট এবং মধ্যপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচন। তার আগে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যের খেসারত দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। সে কারণেই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে সোমবার রাতে পেঁয়াজের রফতানির উপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।’
এদিকে, বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর গত দুইদিনে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় ঠেকেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার খোলাবাজারে ন্যায্যামূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। একই সাথে সমুদ্রপথে চীন, মিশর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।