পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে বন্ধ থাকলেও ভোলায় বিশেষ বিবেচনায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে জ্বালানি বিভাগ। ভোলায় গ্যাস সংযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি একটি প্রস্তাবনা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দিয়েছে। এক সচিবের পাড়ি ভোলায় হওয়ার কারণে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমান সরকারে আমলে ২০১৩ সালের পর থেকে সারাদেশের আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিতে কয়েক লাখ আবেদন জমা পড়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নতুন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করলেও সেখানে গ্যাস সংযোগ নিতে পারছে না। একই নির্দেশনা ভোলাবাসীর জন্য প্রযোজ্য আছে। মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ সাধারণ গ্রহকের মাঝে প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক কর্মকর্তার জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের সুপারিশে ভোলায় গ্যাস সংযোগ চাল হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ভোলায় খুব অল্প গ্রাহক আছেন, যারা এখনও আবাসিকে গ্যাস পায়নি। ভোলার গ্যাস তো জাতীয় গ্রিডে এখনও আমরা আনতে পারিনি। তাই বিশেষ বিবেচনায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগের নিষেধাজ্ঞা উঠিয় নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে সবটুকুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। সুন্দরবন কোম্পানির কাছ থেকে একটা প্রস্তাব এসেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানোহবে। অনুমতি দিলে সংযোগ দেওয়া হবে। সচিব বলেন, বর্তমানে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির অধীনে ভোলায় প্রায় ২ হাজার ৩৫০ জন গ্রাহক পাইপলাইনের গ্যাস পাচ্ছে। ৬ হাজার ৫১১টি ডাবল বার্নার আছে। নতুন করে গ্যাস সংযোগ নিতে এই মুহূর্তে ১ হাজার ৭০০ আবেদন জমা পড়ে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ভোলার গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখন তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৫টি শিল্প কারখানা এবং দুইটি ক্যাপটিভে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এর বাইরে ভোলায় আর কোনও গ্যাস নেই। ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস দিয়ে দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলোয় শিল্পায়নের চিন্তা করা হয়। এজন্য ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত একটি পাইপ লাইন নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে খুব একটা অগ্রগতি নেই। বলা হচ্ছে ভোলা পর্যন্ত বিদ্যুতের গ্রিড লাইন রয়েছে। সেখান বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে দেশের অন্য জায়গাতে সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব এতেও গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব। জ্বালানি বিভাগের সা¤প্রতিক এক সমন্বয় সভায় জানানো হয়, ভোলায় গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলো সালাহউদ্দিন জানান ভোলায় এখন আমরা শিল্পে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছি। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিক ও বাণিজ্যিকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে পাঠিয়েছি। এখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুমোদন পেলে আমরা সংযোগ দেওয়া শুরু করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।