পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধ সিগারেট উৎপাদনের দায়ে কারখানাকে বারবার সিলগালা করা হলেও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না কুষ্টিয়ার ভারগন টোব্যাকোর কার্যক্রম। ওপরের মহলের যোগসাজশে কারখানা সিলগালার পরও ভারগন টোব্যাকো চুপিসারে চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের অবৈধ সিগারেট উৎপাদন। অবৈধ সিগারেট উৎপাদনের দায়ে ভারগন টোব্যাকো কারখানায় আবারও অভিযান চালিয়েছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসএসআই এবং র্যাব ১২’র একটি দল। এ সময় নকল সিগারেট এবং ব্যান্ডরোল তৈরীর অভিযোগে কোম্পানীর ম্যানেজার কাজী রাসেল আজাদ রিপনকে গ্রেফতার করে র্যাব। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে শাহরতলীর কদমতলায় অবস্থিত এই কম্পানিতে প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় কারখানা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার শলাকা অবৈধ সিগারেট, ১ লাখ ৯৫ হাজার জাল ট্যাক্স স্ট্যাম্প ও ১ লাখ ৭ হাজার জাল ব্যান্ডরোল জব্দ করে। অভিযানে প্রতিষ্টানের মালিক রাইছুল হককের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫’র ‘ক’ ধারায় মামলা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দীর্ঘদিন যাবত আইন লঙ্ঘন করে সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহৃত সরকারী রাজস্ব ব্যান্ডরোল জালিয়াতি করে আসছিলো ভারগন টোব্যাকো। পুর্বানি, সিজার ও ভারগন নামে নিজেদের তিনটি ব্র্যান্ডসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নকল ব্র্যান্ডের সিগারেট উৎপাদন করে আসছিলো কোম্পানিটি। ফলে প্রতিবছর সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারগন টোব্যাকো দীর্ঘদিন যাবৎ নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে সিগারেট তৈরী করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করছে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে।
ভারগন টোব্যাকোর বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, অবৈধ ভারগন টোব্যাকো শুধু নিজেদের ব্যান্ড ভারগন নাম দিয়ে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট অবৈধভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। এলাকাবাসী জানায়, ভারগন টোব্যাকোর মালিক ক্ষমতাধর হওয়ায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ভুয়া নি¤œমানের সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারগন টোব্যাকো নিজেদের ব্যান্ড ছাড়াও বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেটের ব্যান্ডরোল নকল করে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাজারজাত করে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ ভারগন টোবাকো কোম্পানির ৩টি গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের জাল ব্যান্ডরোল, অবৈধভাবে উৎপাদনকৃত সিগারেট, সিগারেট তৈরীর কাঁচামাল ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত সিগারেট উৎপাদনে সহায়ক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩ দফায় অভিযান চালায় ভারগন টোব্যাকোর কারখানা ও পৃথক ৪টি গুদামে। এই সময় নকল ব্যান্ডরোল, সিগারেট, সিগারেট তৈরী মেশিন, কাঁচামালসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক উপকরণ-সরঞ্জাম (আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা) উদ্ধার ও জব্দ করেন কুষ্টিয়া কাষ্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। এ ঘটনায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী মামলা করেন। এর দুইদিন পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারগন টোব্যাকো কারখানাকে সিলগালা করে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।