Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূলনীতি ও গঠনতন্ত্র মেনেই বেফাক সঙ্কটের সমাধান করতে হবে

ইসলাহী মাহফিলে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:১৯ পিএম

মূলনীতি ও গঠনতন্ত্র মেনেই বেফাক সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। বেফাকের স্বকীয়তা টিকিয়ে রাখতে হবে। কওমী মাদরাসায় চলমান সঙ্কট থেকে উত্তোরণের উপায় আলোচনা করতে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে আজ শনিবার কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় গুরুত্বপূর্ণ ইসলাহী মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বেফাককে তাঁর সংবিধান মোতাবেক চলতে বাঁধাগ্রস্থ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেফাকের সহসভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি বাংলাদেশের সকল কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা দয়া করে সরকারি অনুদান নিবেন না। সরকারি অনুদান নিলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা টিকবে না। তিনি বলেন, দারুল উলূম দেওবন্দের অষ্টনীতির ভিত্তিতে সরকার আমাদেরকে স্বীকৃতি দিবে, এমন কথা শুনেই আমরা স্বীকৃতি নিয়েছি। কিন্তু সেখানে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, দেশের কওমি মাদরাসা দেওবন্দের আদর্শ মোতাবেক পরিচালিত হবে কথাটি থাকলেও অষ্টনীতি বা উসুলে হাশতেগানাহ শব্দটি নেই। এটাকে বিলোপ করে দেয়া হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, আমরা বেফাককে ভাঙ্গণের জন্য এখানে ইসলাহী মজলিস করিনি। বরং বেফাকসহ কওমি সকল প্রতিষ্ঠান যেনো সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে সেজন্য এই ইসলাহী মজলিসের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মূলনীতি ও গঠনতন্ত্র মেনেই বেফাক সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। ইসলাহী মজলিসে চার দফা প্রস্তাব সর্বসম্মতি ক্রমে গৃহিত হয়। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে, কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা রক্ষার্থে 'তাহাফফুজে ফিকরে দেওবন্দ' শিরোনামে সারাদেশে আলোচনা সভা করা হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেফাকের মজলিসে শুরা ও আমেলার বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে, ইসলাহী মাহফিল থেকে সঙ্কট নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয় এবং গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সঙ্কট সমাধানের জন্য বেফাক নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাত ও আলোচনা করবেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হচ্ছেন, মাওলানা আব্দুল আউয়াল নারায়নগঞ্জ, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা লেহাজুদ্দীন গাজীপুর, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ময়মনসিংহ, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা বশির আহমদ মুন্সিগঞ্জ, মাওলানা নাছিরুল্লাহ যশোর ও মাওলানা হামেদ জহিরী। মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর সঞ্চালনায় ইসলাহী মজলিসে বেফাকের সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পরামর্শ ও ইসলাহীমূলক বক্তব্য রাখেন, আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী, গাজীপুর কাপাশিয়া দেওনাস্থ মাদরাসা দাওয়াতুল হক এর মুহতামিম মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা ওমর ফারুক সন্দিপী, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা শওকত হোসেন সরকার, মাওলানা মাসউদুল করীম, মাওলানা লেহাজ উদ্দিন, নাজিরহাট মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মুফতি হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা সাঈদ নূর, মাওলানা আব্দুল হামিদ কুষ্টিয়া, মাওলানা হারুন ইজহার, মাওলানা লোকমান মাজহারী,মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মুফতি আব্দুর রহমান, কওমী ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের আমীর মাওলানা মুসা বিন ইযহার, মাওলানা আব্দুল্লাহ সাভার, মাওলানা বশির আহমদ, হাফেজ মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা ইয়াকুব ওসমানী, বি-বাড়ীয়া, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী কুমিল্লা, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া খুলনা ও কওমি ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের মহাসচিব মুফতি শরিফুল্লাহ সাদী, মাওলানা আব্দুল আজীজ সিলেটীসহ সারাদেশের বিপুল সংখ্যক ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ