পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক মাধ্যমে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে। অনেকেই ট্রাম্পের মনোনয়ন লাভের বিষয়টি নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছেন। আবার কেউ কেউ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন।
আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সমালোচিত ও বিতর্কিদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করে এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন বলে স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়। নরওয়ের রাজনীতিবিদ টাইব্রিং জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।
নরওয়ের চারবারের নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘আমি মনে করি ট্রাম্প শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি চেষ্টা করেছেন।’ টাইব্রিং দাবি করেন, ট্রাম্প পৃথিবীর অনেক দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। সামনের বছর পুরস্কারটির জন্য তারই বিবেচিত হওয়া উচিত।
জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘বিশ্বে এ পর্যন্ত ৩০ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন পেয়েছেন দায়িত্ব পালনকালে এবং ১২ জন পেয়েছেন দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে অথবা পরে। আমেরিকার মোট ৫ জন রাষ্ট্রপ্রধান নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। এরা হলেন থিওডোর রুজভেল্ট, উইড্রো উইলসন, জিমি কার্টার, বারাক হোসেন ওবামা এবং সর্বশেষ ও বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বারাক ওবামাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হলে, তিনি নোবেল গ্রহণের সময় তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, তিনি মনে করেন, তিনি এখনো এখনো এমন কিছু করেননি যার জন্য নোবেল প্রাইজ তার প্রাপ্য হতে পারে। স্বলাজ কণ্ঠে তিনি বলেছিলেন, ইট ইজ টু আরলি। তবে ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য একাধিকবার বলেছেন, তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, তাকে নোবেল না দেয়ায় তিনি নোবেল কমিটির উপরে পরোক্ষভাবে ক্ষোভও ঝেড়েছেন। তাই ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে হয়তো নানা আলোচনা-সমালোচনা হতে পারে। তবে একথা সত্য, বিগত কয়েক দশকের মধ্যে ট্রাম্পই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নতুন কোন যুদ্ধে জড়াননি বা নতুন কোন যুদ্ধ শুরু করেননি। বরং দুই দুইবার একেবারে যুদ্ধের কিনারা থেকে তার দেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। সে বিচারে তার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যৌক্তিকতা রয়েছে।’’
ফররুখ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘নোবেল পুরস্কার আমেরিকানদের মত দেওয়া হয় আর নয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত এরকম বিতর্কিত লোক কিভাবে মনোনীত হয়।
অথচ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে জায়গা দিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে মানবতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন
অথচ তিনি নোবেল পুরস্কার পান নাই। আসলে নোবেল পুরস্কার যাই বলেন না কেন এগুলো সম্পূর্ণ বাটপারি।’’
মোহাম্মাদ আরাফাত হাসান লিখেছেন, ‘‘অবশ্যই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য সে।।
সে একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে নতুন করে কোন দেশের সাথে যুদ্ধ করে নাই বরং পুরনো ২টা (ইরাক ও আফগান) যুদ্ধের সমাধান করছে।’’
বাদল খান লিখেছেন, ‘‘নোবেল কমিটি এখন বিক্রি হয়ে গেছে টাকার কাছে। এমন সব লোক নোবেল পুরস্কার পায় শান্তিতে যারা পৃথিবীতে বিতর্কিত। ডোনাল ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত না করে ইবলিশ শয়তানকে দিলে খুশি হব?’’
কামরুল ইসলাম, "শান্তির জন্য নোবেল" এই পুরস্কারটিই বিতর্কিত। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত জন এবং যত দেশে এই শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সবাই বিতর্কিত ব্যক্তি।কেউ টাকার বিনিময়ে আর কেউ প্রভাব বিস্তার করে এই বিতর্কিত পুরস্কার পেয়েছেন।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।